মিলন সিদ্দিকী, ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি
পরপর দুই কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ায় স্ত্রীর ওপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন অভিযোগ উঠেছে স্বামীর ও ভাসুরের ছেলের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, ওই মহিলার নাম নাহিদা। তিনি ধামরাই উপজেলা কুশুরা ইউনিয়নের । ২০১১ সালে স্থানীয় ঠান্ডু মিয়া ছেলে তারা মিয়ার সাথে বিয়ে হয় নাহিদার। প্রথমদিকে স্বাভাবিকভাবেই চলছিল জীবন। প্রথমে একটি কন্যা সন্তান হয় নাহিদার। তারপর থেকেই তার ওপর শুরু হয় অত্যাচার। কিছুদিন পর ফের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন নাহিদার। দ্বিতীয়বারও কন্যা সন্তান হয় তার। এরপরই সংসারে আরও অশান্তি বাড়ে। নাহিদার উপর ভয়াবহ অত্যাচার শুরু করে তার স্বামী। স্ত্রীর নাহিদ কে অত্যাচার চালায় তারা মিয়া। শুধু তাই নয়, মারধর-সিগারেটের ছ্যাঁকা দেওয়ার ঘটনা ঘটতে থাকে প্রতিদিন। প্রতিবাদ করেও কোনও লাভ হয়নি। কিছুদিন আগে স্ত্রীর কাছে ডিভোর্সডিভোর্স চায় তারা মিয়া। তা নিয়ে নতুন করে অশান্তি শুরু হয়। অত্যাচারের মাত্রা চরমে ওঠে। অত্যাচারে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন নাহিদা। এরপরই বাপের বাড়ির লোকজন এসে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে।
নির্যাতিত ওই বধূর মা জানান, মেয়ের ওপর অত্যাচারের কথা জানার পরই তাকে উদ্ধারের সিদ্ধান্ত নেন তারা। তবে এই ঘটনায় এখনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। নির্যাতিতা সুস্থ হয়েই পুলিশের দ্বারস্থ হবেন বলে জানা গেছে।
তিনি আরো বলেন আমি গুচ্ছগ্রামে থাকি আমার স্বামী প্যারালাইস প্রতিবন্ধী কে নিয়ে আমি বড় অসহায় অবস্থায় দিনপাত করছি। এর উপরে মেয়ের উপরে নির্যাতন বিচার চাইতে সমাজে দ্বারে দ্বারে ঘুরছি । নাহিদার স্বামী একজন অটোচালক আগে সৌদি থাকতো, নাহিদার স্বামী পাশাপাশি ভাসুরের ছেলে জনি আমার মেয়েকে মারধর করে প্রতিনিয়ত। আমি এর বিচার চাই।
 এই বিষয়ে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার সাথে কথা বললে জানা, বর্তমান সমাজে এমনও ঘটনা ঘটছে আমার জানা নেই, তবে থানা অভিযোগ করলে পুলিশ নিয়ে আমি তাকে সর্বোচ্চ সাহায্য সহযোগিতা করব।
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন আমি অভিযোগ পেয়েছি, ভালো অফিসারকে দিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিব।