শফিকুল ইসলাম সাফা, চিতলমারী:
চিতলমারীতে আখ চাষে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন চাষিরা। অতিবৃষ্টি-অনাবৃষ্টি ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে ধান ও সবজি চাষ করে বার বার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।এ পরিস্থিতিতে বিকল্প হিসেবে আখ চাষের দিকে ঝুঁকছেন অনেকে। এর মাধ্যমে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন এসব চাষিরা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার সীমান্তবর্তী বলেশ্বর নদীর জেগে ওঠা চরের জমিতে এ বছর ব্যাপক ভাবে আখের আবাদ করা হয়েছে। চাষিরা রাত-দিন খেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। এখানকার জমিতে গ্যান্ডারি, তুরপিন ও উচ্চ ফলনশীল জাতের আখের চাষ করা হয়েছে। অনেকে আখ বাজারে তুলতে শুরু করেছেন। এ বছর বাজার দর ভালো থাকায় খুশি চাষিরা। অনা বৃষ্টির কারণে কিছু ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেটি সারিয়ে তোলার চেষ্টায় ব্যস্ত অনেক আখ চাষি।
আখ চাষ বেশ লাভজনক হওয়ায় এটি চাষের মাধ্যমে অতীতের লোকসান কাটিয়ে উঠা সম্ভব বলে চাষিদের অনেকে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
উপজেলার চরডাকাতিয়া গ্রামের আখচাষি শচিন বালা, স্বপন মজুমদার, মিলন হীরা, কিরণ মন্ডল নবধারা কে বলেন, ধান-সবজি চাষ করে প্রতি বছর লোকসান গুনতে হয়। বিকল্প হিসেবে আখ চাষ অনেক লাভজনক। ফলন ভালো হলে অন্য যে কোন ফসলের চেয়ে আখ চাষ করে আর্থিক উন্নয়ন সম্ভব।
তারা আরো জানান, চরের জমিতে অন্যান্য ফসলের চেয়ে আখের ফলন বেশ ভালো হয়েছে। গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে আখ খেত কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে আবহাওয়া পরিবর্তন হওয়ায় সে দুশ্চিন্তা অনেকটা দূর হয়েছে।
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা অসীম কুমার দাস নবধারা কে বলেন, এ বছর চরবানিয়ারী এলাকার জমিতে আখের চাষ করা হয়েছে। আখ একটি লাভজনক ফসল। ফলন ভালো হলে প্রতি হেক্টর জমি থেকে ৭-৮ লাখ টাকার আখ বিক্রি করা সম্ভব। অন্যান্য এলাকার চেয়ে এখানকার মাটিতে আখ ভাল জন্মে। এটি চাষের মাধ্যমে চাষিরা লাভবান হতে পারেন।