জেলা প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জঃ
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার পদ্মাকান্দা গ্রামের জলাবদ্দ জমি থেকে ১১ মাস পর উদ্ধার হাত-পা বাধা অর্ধ গলিত অজ্ঞাত লাশের পরিচয় সনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে সিআইডি। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে লাশটি মেহেদী মাতুব্বরের (১৭) বলে তারা নিশ্চিত হয়।
এদিকে ২২ সেপ্টেম্বর এঘটনার সাথে জড়িত সিআইডি গোপালগঞ্জের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে সিআইডি’র একটি টীম হত্যাকান্ডে জড়িত মেহেদীর পিতা ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার চুমুরদি গ্রামের আরব আলী মাতুব্বর (৪০) কে গ্রেফতার করে। সিআইডি’র জিজ্ঞসাবাদে প্রতিপক্ষকে ফাসাতে নিজের ছেলেকে ঢাকা থেকে ফোন করে বাড়িতে ডেকে এনে নিজেই তার হাত-পা রশি দিয়ে বেঁধে প্রতিপক্ষের বাড়ির পাশে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করে বলে স্বীকারোক্তী দেয় ঘাতক পিতা আরব আলী মাতুব্বর।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গোপালগঞ্জ সিআইডি উপপরিদর্শক মাহাতাব উদ্দিন জাগো নিউজ কে বলেন, প্রতিপক্ষকে হত্যা মামলায় ফাসিয়ে জব্দ করতে নিজের ছেলে মেহেদী মাতুব্বরকে হাত-পা বেঁধে আসামীদের বাড়ির পাশে জলাবদ্দ জমিতে ডুবিয়ে নিষ্ঠুর ভাবে হত্যা করে আরবআলী মাতুব্বর। পরে পুলিশ তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার এবং ময়নাতদন্ত শেষে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করে। দীর্ঘ তদন্তের পর ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে অমরা লাশের পরিচয় নিশ্চিত হতে পেরেছি। হত্যাকান্ডের সাথে আরব আলী মাতুব্বরের সংশ্লিষ্ঠতা খুজে পওয়ার পর তাকে গ্রেপ্তার করলে সিআইডি’র কাছে সে তার অপরাধ স্বীকার করে।
উল্লেখ্য গত ২০২০ সালের ১১ অক্টোবর সকাল ৯টার দিকে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার পদ্মকান্দা গ্রামের জলাবদ্ধ জমি থেকে সিন্ধিয়াঘাট ফঁাড়ির পুলিশ মেহেদী মাতুব্বরের হাত-পা বঁাধা অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে।ওই দিন পুলিশ বাদী হয়ে মুকসুদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা (নং-১০) রুজু করে। পরে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের নির্দেশে সিআইডি মামলাটি তদন্ত গ্রহন করে।