মোল্লাহাট(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ
মালয়েশিয়ান এক হিজড়ার সিমাহীন দৌরাত্মের অতিষ্ঠ হয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযথ হস্থক্ষেপ কামনা করে প্রেসক্লাব মোল্লাহাটে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বাংলাদেশী যুবক লেখক শেখ সবুজ ওরফে সালমান বৃশ্চিক। শায়লাজা দেবী কুটাপপান/তাবু (৪৫) হিজড়া, পিতা কুটাপপান, মাতা সুম্মাহ, সি-৭-৮ পুত্রা ম্যাজেস্ট্রিক, জালান ক্যাসিপিলে ৫২১০০, কুয়ালালামপুর, মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধে শুক্রবার সকাল ১০টায় প্রেসক্লাব মোল্লাহাটের সভাকক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন করেন উপজেলার সরসপুর গ্রামের আসলাম শেখের ছেলে ভুক্তভোগী শেখ সবুজ ওরফে সালমান বৃশ্চিক (২৯)।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ও বিভিন্ন প্রশ্নোত্তরে ওই যুবক জানান, ২০১৫ সালে শিক্ষার্থী ভিসায় মালয়েশিয়া যান এবং ২ বছর পড়াশোনা করার পর চাকরি করেন। ২০১৮ সালের শেষ দিকে কুয়ালালামপুরে এক রেস্টুরেন্টে কাজ করেন। ২০১৯ এর মাঝামাঝি কাজ ছুটে যায়। একই এলাকায় বসবাস করায় তখন পরিচয় হয় হিজড়া শায়লাজা দেবী কুটাপপান (৪৫), পিতা কুটাপপান, মাতা সুম্মাহ, সি-৭-৮ পুত্রা ম্যাজেস্ট্রিক, জালান ক্যাসিপিলে ৫২১০০, কুয়ালালামপুর এর সাথে। এ পরিচয় সুত্রে হিজড়া তার নিজস্ব টেইলার্সের দোকানে ম্যানেজার পদে নিয়োগ দেন তাকে। বেকার থাকায় খুশি মনে ওই কাজে যোগ দেন যুবক। এরপর বিভিন্ন কার্যকলাপে তিনি জানতে পারেন যে, হিজড়া সমকামী। এছাড়া সার্জারীর মাধ্যমে ওই হিজড়া মেয়েদেরমত দৈহিক গঠন করেছেন। যুবককে ওই হিজড়া যৌন হয়রানীর চেষ্টা করে। যখন যুবক নিজেকে রক্ষা করতে ব্যার্থ প্রায়, তখন ওই চাকরি ছেড়ে দেন। এরপরও যৌন হয়রানীতে মাতোয়ারা হওয়ায় হিজাড়ার ভয়ে নিরুপায় হয়ে ২০১৯ সালের ২৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশে ফিরে আসেন যুবক সবুজ ওরফে সালমান বৃশ্চিক।
হিজড়া এতোটাই বে-পরোয়া যে, মাত্র এক মাসের ব্যবধানে ২০২০ সালের জানুয়ারীতে বাংলাদেশে আসেন এবং তার দুই সহযোগী আনোয়ারুল আজিম ও কাশমি ইসরাত দম্পতিকে নিয়ে খুলনা বয়রাস্থ সবুজের বাসায় গিয়ে নানাবিধ উৎপাত করে। এভাবে সে চার বার বাংলাদেশে টুরিস্ট ভিসায় এসে কৌশলে তার সহযোগী দ্বারা সবুজের পাসপোর্ট ও জরুরী ট্রাভেলস ডকুমেন্ট নিয়ে যায়। ৫ম বার এসে ওই সকল কাগজপত্র ফিরিয়ে দেয়ার কথা বলে যুবককে ঢাকা নিয়ে যায়। এরপর সেখানে বন্ধি রেখে ২০/২৫ জন লোকের মাধ্যমে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ২৭ সেপ্টেম্বর খিলগাও কাজি অফিসে জোর পূর্বক বিয়ে করে। যে একজন হিজড়া এবং তার কাগজপত্রে স্পষ্ট করে লেখা আছে সে মেইল/পুরুষ। কোন আইনে কোন বিচারে একজন পুরুষ হিজড়া একজন পুরুষকে বিয়ে করতে পারে ? এ প্রশ্নও করেন যুবক। এরপর সে নিজ দেশে ফিরে গিয়ে আবার বাংলাদেশে আসে এবং তার নামে মিথ্যা যৌতুক মামলা করে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে এক সপ্তাহ জেল খাটায়।
যুবক আরো বলেন, আমি জামিনে মুক্তি পেয়েও মানষিকভাবে বিদ্ধস্থ। এরই মাঝে আবার বাংলাদেশে এসে আমাকে হয়রানীর চেস্টা করছে। এখন সে খুলনাতে কোন হোটেলে থাকছে। আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাকে এসকল অপরাধ ও অপকর্মে সার্বিক সহযোগীতা করছে আনোয়ারুল আজিম ও তার স্ত্রী কাশমি ইসরাত। এমন হয়রানী আর সহ্য করতে পারছি না। নিরুপায় হয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ওই হিজড়া পুরুষ ও তার সহযোগীদের শাস্তির দাবীতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্থক্ষেপ কামনা করছি। কেবল আমার জীবন বিধ্বস্থ করছে না, এ ঘটনায় আমার মা, বাবা ভাই-বোন সকলের জীবন ধ্বংসের দ্বারে। আমার ছোট ভাই মেরিন ইঞ্জিনিয়ার শেক সাদী মালয়েশিয়াতে জাহাজ কোম্পানীতে চাকুরি করে। তাকে জিম্মি করে তার থেকে অন্যায়ভাবে মুক্তিপণ/টাকা হাতিয়ে নিয়েছ ওই হিজড়া। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের বেচে থাকা দুস্কর। সারাক্ষণ ভয়ে-ভয়ে থাকতে হয়। সবশেষে মা-বাবা-ভাই-বোন সকলকে নিয়ে যেন আর এহেন হয়রানী না হতে হয়, স্বাধীনভাবে সৎকর্মকরে নির্বিঘে যেন চলতে পারে এবং ওই হিজড়া এবং তার সহযোগী অপরাধীরা যেন বিচারের আওতায় আনা হয়, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট সেই দাবী জানিয়েছেন যুবক শেখ সবুজ ও তার মা লিপি খানম।