সুজন মজুমদার, রামপাল বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ
বাগেরহাটের রামপালে এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অবসরপ্রাপ্ত ও মৃত পুলিশ সদস্যের বিধবা স্ত্রী এবং সন্তানের জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগীরা রামপাল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার শরাপপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত মৃত পুলিশ সদস্য লুৎফর রহমানের পুত্র মাহামুদুর রহমান এর অনুকুলে এস,এ মালিক সবুরা বেগম ও সাইদুর রহমান দিং এর নিকট থেকে ক্রয় করে দীর্ঘ দিন ধরে ভোগদখল করে আসছেন। উক্ত জমি সৈয়দ আহম্মদ আলী ও তার পুত্র বাংলাদেশ পুলিশের কনস্টবল খালিদ সাইফুল্লাহ জোরপূর্বক দখলে নিতে ভুক্তভোগীর বসতঘর ভেঙ্গে তাড়িয়ে দিয়ে ক্রয়কৃত ১০শতক জমিতে সাইনবোর্ড টানিয়ে ও ইট দ্বারা পাকা ভবন নির্মানের চেষ্টা চালাচ্ছেন। তর্কিত শরাপপুর মৌজার আর,এস খতিয়ান নং ১১৬, জে,এল নং ৮৯ ও দাগ নং ১৫ এর ১০ শতক জমি দখলে নিতে পুলিশের ওই সদস্য খালিদ সাইফুল্লাহ সাইনবোর্ডে বাংলাদেশ পুলিশের নাম ব্যবহার করে এলাকায় ভুক্তভোগীদের মাঝে ভীতি সঞ্চারের চেষ্টা চালাচ্ছেন। তারা প্রভাবশালী হওয়ায় উক্ত জমি নিয়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ দিলেও মিলছেনা কোনো প্রতিকার। এবিষয়ে সরোজমিনে গিয়ে সৈয়দ আহম্মদ আলী ও তার পুত্র কনস্টবল খালেদ সাইফুল্লার মুঠোফোনে কথা হলে তিনি ওই জমির প্রকৃত মালিক বলে দাবি করলেও তারা এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গত ৩ দিনেও কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। সাইনবোর্ডে বাংলাদেশ পুলিশের নাম ব্যবহারের বিষয়টি দৃষ্টিআকর্ষন করে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার পিতা ওই নাম ব্যবহার করে সাইনবোর্ড টানিয়েছেন। যাতে করে চোরেরা কোন মালামাল নিতে না পারে। এজন্য সাইনবোর্ডে বাংলাদেশ পুলিশের নাম ব্যবহার করা হয়েছে।
এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট ৩নং বাইনতলা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ফকির আব্দুল্লাহর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান আমি ওদেরকে জায়গা দখল করে ঘর করতে নিষেধ করেছি এবং জায়গা ছেড়ে দিতেও বলেছি। একই কথা বলেন, ইউপি সদস্য শাহিন মোল্যা ও তুহিন খান।
অভিযোগের বিষয় রামপাল থানার ওসি মোঃ সামসুদ্দীনের কাছে জানতে চাইলে অভিযোগের কপি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন তদন্তকরে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।