সবিতা রায়, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
বিপ্লবী কমরেড নির্মল সেনের আজ নবম মৃত্যুদিন।সাংবাদিক,কলামিস্ট,রাজনীতিবিদ,কবি, সাহিত্যিক নির্মল সেন ১৯৩০ সালের ৩ আগস্ট গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ার দীগিরপাড় গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। পিতা সুরেন্দ্রনাথ সেন গুপ্ত,মাতা লাবন্য প্রভা সেন গুপ্ত।
১৯৪৬ সালে ভারত বিভাজনের পূর্বে তাদের পরিবার সহ ভারতে চলে যান।তিনি এখানেই রয়ে যান। শৈশব থেকেই নির্মল সেনের লেখালেখির অভ্যাস ছিল,অস্টম শ্রেনীতে পড়ার সময় ‘কমরেড’ পত্রিকায় তিনি নিয়মিত লিখতেন। দেশে উত্তাল রাজনীতির সময় তিনি লিখেছিলেন ‘স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই’ নামক উপ-সম্পাদকীয়। সেই লেখা থেকেই তিনি লেখক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। কলামিস্ট নির্মল সেন ১৯৪৪ সালে কলস কাঠী বি,এম একাডেমী থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাশ করেন। পরবর্তীতে তিনি বরিশাল বি, এম কলেজে এইচ,এস,সি ও বি,এ পাশ করেন। রাজনৈতিক ঘাত প্রতিঘাতের পর তিনি ১৯৬১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। লেখা লেখি কখনোই থামেনি গুনী মানুষের। একের পর এক প্রতিবাদী লেখা চালিয়ে গেছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য লেখাঃ মানুষ, সমাজ রাষ্ট্র,বার্লিন থেকে মস্কো, মা জন্মভূমি,আমার জবানবন্দী ইত্যাদি।
নির্মল সেন ১৯৬১ সালে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রথম সাংবাদিক হিসেব আত্মপ্রকাশ করেন, তার পরে অনেক গুলো পত্রিকায় লেখালেকি করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি সাংবাদিকতা বিষয়ের উপর খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৯৪৪ সালে নির্মল সেন আর এস পি তে যোগদানের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক দলে যোগদান করেন। তার পর থেকে বিভিন্ন আন্দোলন, প্রতিবাদ,অধিকার আদায়ের জন্য পথে নেমেছেন। ২০১৩ সালের ৮ জানুয়ারী ৮২ বছর বয়সে চিরকুমার বর্ষীয়ান কমরেড নির্মল সেন ইহলোক ত্যাগ করেন।
নবধারা পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।