কচুয়া (বাগেরহাট) প্রতিনিধি:
সম্প্রতি বঙ্গোপ সাগরে কচুয়ার ২টি ট্রলার ঘুর্নিঝরের কবলে পড়ে ৭জন জেলে নিখোঁজ রয়েছেন, ১জন জেলের মৃত লাঁশ উদ্ধার হয়েছে এবং ঝড়ের কবলিত ২টি ট্রলারের ২০ জন জীবিত জেলে এসময় উদ্ধার হয়। গত ৬ ফোব্রæয়ারী ট্রলার ডুবির ৩দিন অতিবাহিত হলেও কচুয়ার ট্রলারের নিখোঁজ থাকা ৭ জেলের এখনো কোন সন্ধান মেলেনি।
কচুয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাজমা সরোয়ার এই খবর পেয়ে নিখোঁজ জেলেদের পরিবাবের কাছে যান, তাদের শান্তনা দেন ও জরুরী খাবার পরিবেশনের জন্য অত্র ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সেখ মো: মকবুল হোসেনকে নির্দেন দেন। গতকাল রবিবার দুপুরে কচুযা উপজেলার ধোপাখালী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড মেম্বর মো: লোকমান হোসেন আমাদের প্রতিনিধিকে জানান যে, গত ৩১ জানুয়ারী আমাদের কচুয়া উপজেলা থেকে এফভি মায়ের দোয়া ও বাবা মোয়ের দোয়া নামে ২টি ট্রলার ( প্রতি ট্রলারে ১৪ জন করে) মোট ২৮জন জেলে নিয়ে বঙ্গোপ সাগরে মাছ ধরতে যায় । গত ৪ ফ্রেব্রæয়ারী শুক্রবার বঙ্গোপ সাগরে কচুয়া ট্রলার দুটি ঝড়ের কবলে পড়ে ঢুবে যায়। অনেক খোঁজা খুঁজির পড়ে ট্রলার ২টি সহ ২০জন জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। বাকী ১জন জেলেকে মৃত উদ্ধার করা গেলে ও বাকী আরও ৭ জেলের এখন পর্যন্ত কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।
নিখোজ জেলেরা হলো : ১/ রুহুল হাওলাদার(৪৫)পিতা-উকিল উদ্দিন হাওলাদার, ২/ আবু বক্কার মোল্লা(৩৫)পিতা-রাজা আলী মোল্লা,৩/বাবুল হাওলাদার(৩০)পিতা-সাহা আলী হাওলাদার, সর্বসাাং- বগা, ইউপি-ধোপাখালী,৪/ ইয়াকুব বাওয়ালী(৪৫)পিতা-সোনামদ্দিন বাওয়ালী, ৫/ শহীদুল মল্লিক(৪৫)পিতা- সৈয়াদ আলী মল্লিক,৬/মহিদ মোল্লা (৪০)পিতা-ইউসুফ আলী মোল্লা,সর্ব সাং-ভাষা, ইউপি-ধোপাখালী,৭/ আণোয়ার হাওলাদার(৫৫)পিতা-সৈয়াদ হাওলাদার, সাং-বড় আন্ধার মানিক, মঘিয়া।
৮/মৃত জেলে –মামুন সেখ-(৪২)পিতা –আনোয়ার সেখ, সাং-কালীগঞ্জ, সন্তোস পুর চিতলমারী।