কচুয়া (বাগেরহাট) প্রতিনিধি:
বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলা এখন শোকে মূহ্যমান। গ্রামের পর গ্রামে কান্নার আহাজারি চলছে। বঙ্গোপসাগরে ঘুর্নিঝড়ে নিখোঁজ ও নিহত হওয়া জেলেদের লাশ আসছে। সেই শোকে এই আহাজারি। বৃহষ্পতিবার শোকাহত পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা ও শান্তনা দিতে ছুটে যান কচুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমা সরোয়ার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জীনাত মহল ।
বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময় এমপি এর পক্ষে প্রতি পরিবারে ১০হাজার টাকা ও জেলা প্রশাসকের পক্ষে প্রতি পরিবারে ২০হাজার টাকা শোকাহত পরিবারদেরকে এ আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমা সরোয়ার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জীনাত মহল বৃহষ্পতিবার সকাল ১০টা ৩০মিনিটে বগা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে।এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক অধ্যক্ষ মো: সাইফুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শিকদার কামরুল হাসান কচি,সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হাজরা ওবায়দুর রেজা সেলিম,যুলীগের যুগ্ম আহবায়ক দিদার সুজন,কচুয়া কৃষকলীগের সভাপতি ও কচুয়া সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শিকদার হাদিউজ্জামান হাদিজ, মৃনাল কান্তি মৈত্র,ধোপাখালী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সেখ মো: মকবুল হোসেন,সেখ মাহাবুব হোসেন, ইউনিয়ন সদস্য মো: লোকমান হোসেন, কৃষকলীগের সাধারন সম্পাদক আ: ছালাম মল্লিক সহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
কচুয়া উপজেলার ধোপাখালী ইউনিয়নের ০৯নং ওয়ার্ডের সদস্য লোকমান হোসেন জানান, বঙ্গোপসাগরে ঘুর্নিঝড়ে নিখোঁজ কচুয়ার সাতজন এবং চিতলমারী উপজেলার একজন জেলে নিখোঁজ হয়। সোমবার ভাষা গ্রামের সোনামদ্দিন বাওয়ালীর ছেলে ইয়াকুব বাওয়ালীর (২৫) লাশ গ্রামে পৌঁঁছালে শোনা খবর সম্পর্কে নিশ্চিত হয় গ্রামবাসী। তার আগের দিন পাশ্ববর্তী চিতলমারী উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের কালিগঞ্জ গ্রামের আনোয়ার শেখের ছেলে মামুন শেখের লাশ পাওয়া যায়। এছাড়াও গত ৮ ফেব্রুয়ারী মঘিয়া ইউনিয়নের বড় আন্ধারমানিক গ্রামের সৈয়াদ হাওলাদারের ছেলে আনোয়ার হাওলাদার (৫৫) সহ কচুয়ার নিখোঁজ অন্যান্য জেলেদের লাশ পেয়ে দাপন করা হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।।