কচুয়া (বাগেরহাট) প্রতিনিধিঃ
কচুয়ায় নবম শ্রেনীর এক স্কুলছাত্রী (১৪) কে গনধর্ষণ করেছে একদল দুর্বিত্তরা। থানায় মামলা হয়েছে , কচুয়া থানা পুলিশ ১ জনকে আটক করেছে । মামলার ৩ নং আসামী এজাজুল মোল্লা (২১) কে আটক করা হয়।
পুলিশ জানায় যে, বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে কচুয়া উপজেলার বাধাল ইউনিয়নের কলিমীবুনিয়া গ্রামে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় ঐ স্কুলছাত্রীকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: আসাদুজ্জামান হাসপাতালে গিয়ে ঐ স্কুলছাত্রীর খোঁজ খবর নিয়ে তার নিকট থেকে বিস্তরিত জেনে ধর্ষকদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন।
বাধাল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নকীব ফয়সাল অহিদ আমাদের প্রতিনিধিকে জানান যে, আমি আমার ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বর ইব্রহিম মোল্লার মাধ্যমে জানতে পারি যে, তার ওয়ার্ডের কলিমীবুনিয়া গ্রামের একদল দুর্বিত্ত বৃহষ্পতিবার গভীর রাতে একই গ্রামের এক স্কুলছাত্রীর বাবা-মা বাড়িতে না থাকায় সুযোগে অস্ত্রের মুখে জোর করে ধর্ষন করে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। আমি বিষয়টি শুক্রবার বিকালে জানতে পেরে তাৎক্ষনিক ছাত্রীটিকে উদ্ধার করে মেয়েটির বাবা ও মেম্বরের মাধ্যমে চিকিৎসার জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠায়।
স্কুলছাত্রীটির বাবা জানান, আমি প্রতিবেশীদের মাধ্যমে খবর পেয়ে বাড়িতে আসি। বাড়িতে এসে মেয়ের নিকট থেকে বিষয়টি জেনে শুনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে তাকে দ্রুত বাগেরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। আমার মেয়েটি গুরুতর অসুস্থ্য। মেয়েটির বাবা কাদঁতে কাদঁতে আরও বলছিলেন যে, আমি আমার মেয়ের ধর্ষনকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবী করছি।
কচুয়া থানা অফিসার্স ইনচার্জ নবধারা কে জানান যে,আমি ঘটনাটি শুনা মাত্র ঘটনাস্থান পরিদর্শন করি, এবং সারা রাত আসামীদের গ্রেপ্তারের জোর প্রচেস্টা চালিয়েছি।অবশেষে মামলার ৩ নং আসামী এজাজুল মোল্লাকে আটক করতে সক্ষম হই।এবাপারে স্কুল ছাত্রীটির বাবা হায়দার বাদী হয়ে কচুয়া থানায় ৪জনের নাম উল্লেক করে ও অজ্ঞাত আরো আসামী করে ১টি ধর্ষন মামলা করেন। মামলা নং-১৫। তারিখ-২৬-০২-২২ইং। আটককৃত আসামী এজাজুল মোল্লা(২১) একই গ্রামের আ: কাদের মোল্লার ছেলে।