কচুয়া (বাগেরহাট) প্রতিনিধিঃ
বাগেরহাটের কচুয়ায় ৯ম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণকারীদের কঠোর বিচারের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে।
সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) সকালে বাগেরহাট-পিরোজপুর মহাসড়কের বাধাল বাজারে ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধন কর্মসূচীতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক,বাধাল ইউনিয়ন অপরাজিতা নেটওয়ার্ক কচুয়া,ও উদায়ন বাংলাদেশ, জাতীয় নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ফোরম, বাগেরহাট এবং এলাকাবাসি অংশ নেন। পরে তারা বাগেরহাট-পিরোজপুর মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেন। মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, কচুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা সরোয়ার, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নকীব নকিবুল হক নজু, কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক অধ্যক্ষ মো: সাইফুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা সেখ মোস্তাফিজুর রহমান মোন্ত, এ্যাড: নওরোশুজ্জামান লালন,বাধাল ইউপি চেয়ারম্যান নকীব ফয়সাল অহিদ,বীর মুক্তিযোদ্ধা শিকদার হাবিবুর রহমান, বাধাল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি কোতোয়াল ইলিয়াস আহম্মে,কচুয়া ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ এসএম নাজমুল হুদা মিয়া,মসনী মাধ্যমিক বিদ্যলয়ের প্রধান শিক্ষক আশীষ কুমার দাস, শিক্ষক সুনয়না মন্ডল, শিক্ষার্থী কৃষ্ণা দাস, প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ৯ম শ্রেণীর একজন স্কুল ছাত্রীর উপর তার নিজ বাড়িতে যে অমানুষিক নির্যাতন করেছে দুর্বিত্তরা, তা কোন ভাবেই কেউ আশা করেনি। আমরা চাই, অভিলম্বে সকল দোষীদের গ্রেফতার করে দেশের সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনতে হবে। তা – না হলে আমরা আরো কঠোর কর্মসূচী গ্রহন করবো বলে তারা উল্লেখ করেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারী) কচুয়া উপজেলার কলমিবুনিয়া এলাকায় পিতামাতা বাড়িতে না থাকার সুযোগে স্থানীয় কাদের মোল্লার ছেলে এজাজুল মোল্লা(২১), আজহার শেখের ছেলে সোহেল শেখ(২২), ইউনুস শেখের ছেলে টিপু শেখ(২৫) ও বারেক মোল্লার ছেলে সজীব মোল্লা(২৫) কৌশলে’ ঘরে ঢুকে তার মেয়েকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। পরে শুক্রবার রাতে তাকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম নবধারা কে বলেন, আমি বিষয়টি শোনা মাত্রই শুক্রবার গভীর রাতে প্রযুক্তির সহয়াতায় ওই স্কুল ছাত্রীর উপর নির্যাতন কারীদের মূল হোতা এজাজুল মোল্লাকে (২১) কচুয়ার শাকরিকাঠি গ্রাম থেকে গ্রেফতার করি। নির্যাতন কারীদের মূল হোতা এজাজুল মোল্লাকে গতকাল সোমবার দুপুরে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে মহামান্য আদালত । আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এই মামলার অপর তিন আসামীকে আটকের জোর প্রচেস্টা চালানো হচ্ছে।