1. nabadhara@gmail.com : Nabadhara : Nabadhara ADMIN
  2. bayzidnews@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  3. bayzid.bd255@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  4. mehadi.news@gmail.com : MEHADI HASAN : MEHADI HASAN
  5. jmitsolution24@gmail.com : support :
  6. mejbasupto@gmail.com : Mejba Rahman : Mejba Rahman
মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৩৩ পূর্বাহ্ন

টুঙ্গিপাড়ায় ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ৪ ঘন্টার ব্যবধানে পাল্টে গেল রক্তের গ্রুপ !

Reporter Name
  • প্রকাশিতঃ বুধবার, ৯ মার্চ, ২০২২
  • ১৭৪০ জন নিউজটি পড়েছেন।

নবধারা ডেস্কঃ

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ৪ ঘন্টার ব্যবধানে বদলে গেল ২০ বছর বয়সী প্রসূতি লতা বেগমের রক্তের গ্রুপ! ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এই ‘ভুল’ নিয়ে টুঙ্গিপাড়ায় শুরু হয়েছে হইচই।

আজ ৯ মার্চ (বুধবার) চিকিৎসকের পরামর্শে উপজেলার পাটগাতী বাসস্ট্যান্ডস্থ ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টারে রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করতে দেন রোগীর স্বামী ইসলাম মোল্লা। বেলা ৩ টায় রিপোর্ট আসে তার রক্তের গ্রুপ ‘বি’ পজিটিভ। বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) থেকে ২ জন শিক্ষার্থী ‘বি পজিটিভ’ রক্ত দিতে আসলে পুনরায় রক্ত নিয়ে ক্রস ম্যাচিং এর সময় সন্ধ্যা ৭ টায় রোগীর রক্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর তারা দেখতে পান এবার রক্তের গ্রুপ এসেছে ‘এ’ পজিটিভ। দুই রিপোর্টেই স্বাক্ষর রয়েছে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট মারিয়াম খানমের। পাশাপাশি অবস্থিত মদিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রক্ত পরীক্ষার ভুল রিপোর্টের অভিযোগ পাওয়ার কিছুদিনের  পর ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার এই ভুল রিপোর্ট দিল।

জানা যায়, টুঙ্গিপাড়ার সিঙ্গিপাড়া গ্রামের ২০ বছর বয়সী লতার গর্ভপাতের ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হলে তাকে স্বজনরা ১০০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তার রক্তশূন্যতা দেখা দিলে ডাক্তার এ সময় তার রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করতে দেন। ৯ মার্চ দুপুরে উপজেলার পাটগাতী বাসস্ট্যান্ডস্থ ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টারে রক্ত পরীক্ষা করতে দেয়া হয় বেলা ৩ টায় রিপোর্ট আসে তার রক্তের গ্রুপ ‘বি’ পজিটিভ। বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) থেকে ২ জন শিক্ষার্থী ‘বি পজিটিভ’ রক্ত দিতে আসলে পুনরায় রক্ত নিয়ে ক্রস ম্যাচিং এর জন্য ওই একই ডায়াগনস্টিকে রক্ত পরীক্ষা করা হলে সন্ধ্যা ৭ টায় রিপোর্ট হাতে পেয়ে চমকে উঠেন স্বজনরা। দেখেন এবার রক্তের গ্রুপ লেখা হয়েছে ‘এ পজিটিভ’। রিপোর্ট দুটিতেই স্বাক্ষর রয়েছে ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টারের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট মারিয়াম খানমের। দুই রকমের ফল আসায় লতা বেগমের স্বজনেরা দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যান। তাকে রক্ত দেওয়া বিলম্ব হতে থাকে। পরে এক স্থানীয় সংবাদ কর্মি  ব্যাগ ‘এ পজিটিভ’ রক্ত দেন। তখন সেই রক্ত প্রসূতিকে দেওয়া হয়।

রোগীর স্বামী ‌ইসলাম মোল্লা জানান, এই ভুলের কারণে অনেক বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত। তাদের এ ভুলে আমার স্ত্রীর কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে কে দায়িত্ব নিত? রোগী সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান যদি এমন প্রতারণা করে, তাহলে মানুষ যাবে কোথায়। এরকম দুর্ঘটনা এড়াতে আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করি।

সংবাদ সংগ্রহের করতে গেলে ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার কতৃপক্ষ বলেন, ”সাংবাদিকেরা কি করবে?”

এদিকে  টুঙ্গিপাড়ার অলিগলিতে গজিয়ে উঠেছে অসংখ্য ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এসব ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নেই কোনো নজরদারি। তারা খেয়ালখুশিমতো নিম্নমানের মেশিনে ও কোন কোন ক্ষেত্রে মনগড়া রিপোর্ট করছে। ফলে রোগীদের পড়তে হচ্ছে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে। এসব সেন্টারে একবার রোগী নিতে পারলেই কমপক্ষে ৫-৬ হাজার টাকার টেস্ট ধরিয়ে দেন চেম্বারের ডাক্তাররা। এসব পরীক্ষায় যেমন রয়েছে নিম্নমান তেমনি নির্ধারিত মূল্যের তুলনায় বাড়তি টাকা নেওয়া হচ্ছে রোগীর কাছ থেকে। ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোতে নেই চিকিৎসক, নেই টেকনিশিয়ান। এমনও ডায়াগনস্টিক সেন্টার আছে যার মালিক, চিকিৎসক, টেকনিশিয়ান একজনই। টুঙ্গিপাড়ায় প্রায় ৫/৬ টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার থাকলেও প্রায় প্রত্যেকটি ঘটছে একই ঘটনা। এসব ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নেই প্রশাসনের সামান্য কোন নজরদারী।

গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডাক্তার নিয়াজ মোহাম্মদ নবধারা কে বলেন, এ ঘটনা দুঃখজনক এবং অপেশাদার। এমন ভুলের জন্য বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। যিনি পরীক্ষা করেছেন তিনি সনদ প্রাপ্ত কিনা এবং এই ঘটনাটি আমরা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved সর্বস্বত্বঃ দেশ হাসান
Design & Developed By : JM IT SOLUTION