1. nabadhara@gmail.com : Nabadhara : Nabadhara ADMIN
  2. bayzidnews@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  3. bayzid.bd255@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  4. mehadi.news@gmail.com : MEHADI HASAN : MEHADI HASAN
  5. jmitsolution24@gmail.com : support :
  6. mejbasupto@gmail.com : Mejba Rahman : Mejba Rahman
রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩৯ অপরাহ্ন

নড়াইলে মেঠো পথে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে অনাদরেই ফোঁটা অপরূপ ভাঁট ফুল !

Reporter Name
  • প্রকাশিতঃ শুক্রবার, ১ এপ্রিল, ২০২২
  • ২২১ জন নিউজটি পড়েছেন।

মোঃ জিহাদুল ইসলাম, নড়াইল প্রতিনিধিঃ

রাস্তার ধারে অযত্নে,অনাদরে ও অবহেলায় বেড়ে ওঠা গ্রামবাংলার অতি পরিচিত গুল্মজাতীয় বহুবর্ষজীবী বুনো উদ্ভিদ ভাঁট। নড়াইলের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার দু’পাশে, গ্রামের আঁকাবাঁকা মেঠো পথে,আনাচে-কানাচে অযত্নে অবহেলা প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠে এই ভাঁট ফুল গাছ। শুভ্র সাদা ভাঁট ফুল চোখ জুড়ায় যে কোন ফুল প্রেমীদের।

গ্রাম বাংলার চিরচেনা এ ফুলটি হরহামেশা দেখা গেলেও সাদা ফুলের দিকে তাকালে অনেকের মন ভালো হয়ে যায়। পবিত্র একটা অনুভূতি জাগে। অঞ্চলভেদে এই গাছের ফুলকে ভাইটা ফুল, ঘেটু ফুল, ভাত ফুল, বনজুঁই ফুল, ঘণ্টাকর্ণ বলা হলেও নড়াইলে ভাঁট ফুল বা ভাঁটি ফুল নামেই সমধিক পরিচিত। চৈত্র মাসে এই ফুল ফোঁটে বলে একে চৈতের ফুলও বলা হয়। নড়াইলের বাঁশগ্রাম ইউনিয়নের চাঁদপুর-বগুড়া বিলের মধ্য দিয়ে যাওয়া সড়ক ও কালিয়া-নড়াইল প্রধান সড়কের দুই পাশে ভাঁট ফুলের সমারোহ দেখলে মনে হবে প্রকৃতি যেন অপরূপ সাজে সেজেছে। এছাড়া জেলার সর্বত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা আশ পাশের বাগানগুলোতে ভাঁট ফুলের সৌন্দর্য দেখে পথচারী বা দর্শনার্থীরা মুগ্ধ হবেন। বসন্তের আগমনে পলাশ-শিমুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রকৃতিকে সাজাতে ফোঁটে এই শুভ্র সাদা ভাঁট ফুল। বিশেষ করে পরিত্যক্ত মাঠ, বন, রাস্তা কিংবা জলাশয়ের পাশে মিষ্টি ঘ্রানের অজস্র ভাঁট ফুল ফোঁটা অবস্থায় চোখে পড়ে। এক সঙ্গে অনেক ফুল ফুটে। এর বৈজ্ঞানিক নাম, “ক্লেরোডেনড্রাম ভিসকোসাম” ও ইংরেজি নাম “হিল গেন্টারি বোয়ার ফ্লাওয়ার”। ভাঁট ফুলের আদি নিবাস ভারতবর্ষ, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার অঞ্চলে। তবে যতদিন যাচ্ছে ততই হারিয়ে যাচ্ছে এই প্রজাতির ফুল। এখন বেশ দুর্লভ। গ্রামে কমেছে, শহরে তেমন চোখে পড়ে না। কিন্তু ফুলপ্রেমীরা খুঁজলে নিরাশ হবেন না। এই ফাল্গুন-চৈত্রে চোখ খোলা রাখলে, মন থেকে খুঁজলে সন্ধান মিলবে ভাঁটের। নিজ উদ্যোগে বেঁচে থাকা ভাঁট গাছের প্রধান কান্ড সোজাভাবে দন্ডায়মান, সাধারণত ২ থেকে ৪ মিটার লম্বা হয়। পাতা ৪ থেকে ৭ ইঞ্চি লম্বা হয়। দেখতে কিছুটা পানপাতার আকৃতির ও খসখসে। ডালের শীর্ষে পুষ্পদন্ডে ফুল ফোঁটে। পাপড়ির রং সাদা এবং এতে বেগুনি রঙের মিশ্রণ আছে। বসন্ত থেকে গ্রীষ্ম অবধি ফুল ফোঁটে। এই ফুলের রয়েছে মিষ্টি সৌরভ। রাতে বেশ সুঘ্রাণ ছড়ায় এই ফুল। ফুল ফোঁটার পর মৌমাছিরা ভাঁট ফুলের মধু সংগ্রহ করে।

নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এ, কে, এম, আহসান হাবীব প্রতিবেদককে বলেন, ‘ ভাঁট শুধু সৌন্দর্য গুণে নয়, মানব দেহের জন্য এই গাছের অনেক ঔষধি গুণাগুণও আছে। বিশেষ করে চর্ম রোগীদের জন্য নিয়মিত এই ভাঁট ফুলের রস করে দিনে দুই বার ক্ষত স্থানে মালিশ করলে যে কোন চর্ম রোগ দ্রুত সেরে যাবে। অনেক সময় বিষাক্ত পোকামাকড় কামড় দিলে এই ভাঁট ফুলের রস করে ক্ষত স্থানে মালিশ করলে ফোলা ও ব্যাথা দ্রুত কমে যায়। ভাঁটের পাতার রস কৃমি প্রতিরোধেও দারুণ উপকারী।’

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক দীপক কুমার রায় বলেন,‘ ভাঁটফুল বা ঘেটু গুল্মজাতীয় দেশী বুনো পুষ্পক উদ্ভিদ। এটি বুনো ফুল, গাঁয়ের মাঠে কিংবা রাস্তার ধারে অযত্নে ফুটে থাকে এই ফুল। এই ফুল দিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা ভাঁট বা ঘেটু পুজা করে থাকে বলে তাদের কাছে ভাঁটফুলের অনেক কদর রয়েছে। ফুল গাছটি ভাঁট বলে পরিচিত হলেও স্থানভেদে এবং ভিন্ন ভিন্ন জনগোষ্ঠীতে এর ভিন্ন ভিন্ন নামও রয়েছে। অনেকে একে বনজুঁইও বলেন। এ গাছের ভেষজ গুণাগুণও রয়েছে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved সর্বস্বত্বঃ দেশ হাসান
Design & Developed By : JM IT SOLUTION