শফিকুল ইসলাম সাফা, চিতলমারীঃ
বাগেরহাটের চিতলমারীতে চলতি মৌসুমে বোরে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষি বিভাগের সার্বিক তদারকি ও কৃষককের নিবিড় পরিচর্যার ফলে রোগ বালাইয়ের প্রকোপ কম থাকায় এবং আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় চলতি মৌসুমে বোরো ধানের ফলন ভাল হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। এতোমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় উফশি জাতের ধান কাটা শুরু করেছে।
এবছর এ উপজেলায় ১১ হাজার ৯৮০ হেক্টর জমিতি বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী জমিতে এবার বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। ধানের যে আবাদ হয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী ফসল পাবে কৃষকরা।এ আশা করছেন চিতলমারী কৃষি বিভাগ।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে,দিগন্ত জুড়ে শুধু ধান আর ধান। এসব এলাকায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী জমিতে ইরি- বোরো আবাদ হয়েছে।বড়বাড়িয়া পশ্চিম পাড়া গ্রামের কৃষক হিরামন মাঝি, বিনয় মন্ডল,শ্রীরামপুর গ্রামের শেখর ভক্ত, বড়বাড়িয়া গ্রামের নাসির মোল্লা জানান, এবছর ধান চাষের জন্য প্রতিকুল আবহাওয়া ছিলো। ধানে তেমন রোগ বালাই ছিলোনা। যার কারনে ধানের ফলন ভাল হয়েছে। ধানের মঠে গেলে মনটা জুড়িয়ে যায়। তবে ডিজেলের দাম বেশী হওয়ায় অন্যন্য বছরের চেয়ে এবার বিঘা প্রতি ৪/৫ হাজার টাকা বেশী খরচ হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার ( ভারপ্রাপ্ত) অসিম কুমার দাস নবধারা কে বলেন,এ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আগাম জাতের ধান কাটা শুরু হয়েছে। পুরোদমে ধান কাটা শুরু হতে আরো ৮-১০ দিন সময় লেগে যাবে। কোন প্রকার প্রাকৃতিক বিপর্যয় না ঘটলে চলতি মৌসুমে উপজেলায় বোরো ধানের বম্পার ফলনের আশা করছেন। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মাথায় রেখে মাঠের ধান আশি ভাগ পেকে গেলেই তা কেটে ঘরে তোলার পরমর্শ দিচ্ছেন এই কর্মকর্তা।