শরিফুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার নড়াইলঃ
নড়াইলের লোহাগড়া পৌর এলাকার এসএসসি পরীক্ষার্থী কিশোরীকে পৈত্রিক ভিটা থেকে উচ্ছেদ করতে পিটিয়ে আহত করেছে তার আত্বীয় স্বজনরা। গুরুতর আহত কিশোরীকে প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে লোহাগড়া হাসপতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় আহত কিশোরীর মা বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন।
জানা গেছে,লোহাগড়া পৌর এলাকার লক্ষীপাশা গ্রামের মৃত আশরাফুজ্জামান লিমনের সাবেক স্ত্রী নড়াইল জেলা জজ কোর্টের আইনজীবী এ্যাড. শাহাজিয়া শারমিন তার দু’ কন্যা সন্তানসহ স্বামীর ভিটায় বসবাস করে আসছে। স্বামীর মৃত্যুর পর শাহাজিয়ার শাশুড়ি মৃত লিমনের মা তার একমাত্র ছেলের ঘরের দু’ নাতনীকে বাড়ীর অর্ধেক সম্পত্তি ও ননদকে অর্ধেক সম্পত্তি লিখে দেন। কিছুদিন পর লিমনের মা ও বাবা মারা যান। এরপর লিমনের বোন শামসুন্নাহার লুনা ও তার স্বামী মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর যশোর বেনাপোল অফিসে উপ-পরিদর্শক পদে কর্মরত আশরাফুল আলম পলাশ মিলে লিমনের দু’ মেয়েকে পৈত্রিক ভিটা থেকে উচ্ছেদ করার ষড়যন্ত্র করে আসছে। এসব ঘটনায় শুক্রবার লোহাগড়া থানায় ঊভয় পক্ষকে নিয়ে শালিস বসে। শালিসে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হারান চন্দ্র দু’পক্ষকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরে বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে লিমনের বড় মেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী ¯েœহা (১৬) নিজেদের বসত ঘরে প্রবেশ করতে গেলে শামসুন্নাহার লুনা ও তার স্বামী মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর যশোর বেনাপোল অফিসে উপ-পরিদর্শক পদে কর্মরত আশরাফুল আলম পলাশ,সাবেক পৌর কমিশনার ফাতেমা খানম (ফতে) ও তার ভাইয়ের মেয়ে আফসানা,ফারজানা বাঁধা দেন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এ সময় ¯েœহা জোর করে ঘরে ঢুকতে গেলে তাকে লোহার রড় ও লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। প্রতিবেশিরা গুরুতর আহতাবস্থায় ¯েœহাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া হাসপতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় ¯েœহার মা বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় ৬ জনের নামে এজাহার দাখিল করলেও পুলিশ এখনও নিরব।
আহত ¯েœহার মা নড়াইল জেলা জজ কোর্টের আইনজীবী এ্যাড. শাহাজিয়া শারমিন নবধারা কে বলেন, আমার সন্তানদের তাদের পৈত্রিক ভিটা থেকে উচ্ছেদ করে আমার ননদ লুনা ও তার স্বামী গং সম্পত্তি বিক্রি করে অর্থ আতœসাত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু হেনা মিলন নবধারা কে বলেন, বিষয়টি পারিবারিক। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।