নড়াইল পৌরসভার মেয়র ও পৌর পরিষদের উপর সন্ত্রাসী হামলা এবং আসামী গ্রেফতার না হওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। নড়াইল সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে মঙ্গলবার (১০মে) দুপুরে পৌর ভবনের সামনের সড়কে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নড়াইল পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আঞ্জুমান আরা, প্যানেল মেয়র-১ কাজী জহিরুল হক, কাউন্সিলর রেজাউল বিশ^াস, কাউন্সিলর শরফুল আলম লিটু, আহসান হাবিব তুফান, মোহাম্মদ রাজু, আরব আলী, ইপি রাণী বিশ্বাস, কাউন্সিলর শরফুল আলম লিটু,জেলা ওয়াার্কর্স পার্টীর সভাপতি এ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, জেলা মৎস্যজীবী লীগের আহবায়ক ও সাবেক কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম, জেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ইসমত আরা, জেলা মহিলা লীগ নেত্রী ও সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য এ্যাডভোকেট রওশন আরা কবীর লিলি, সাবেক কাউন্সিলর নাজনীন সুলতানা রোজি, সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সালমা রহমান কবিতা,শাহাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিয়া, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই বিশ্বাস, শ্রমিক লীগ নেতা মশিয়ার বিশ্বাস, নড়াইল জেলা বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা বিপ্লব বিশ্বাস বিলো,সাংবাদিক সাথী তালুকদার, জেলা আ’লীগের যুগ্ম সম্পাদক বাবুল সাহা, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা হাফিজ খান মিলন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মলয় কুন্ডু, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি মাহাবুবুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা মেশকাতুল ওয়ায়েজীন লিটু জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুজ্জামান পলাশ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সাবেক ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নামধারী কয়েকজন সন্ত্রাসী গত ২৬এপ্রিল দুপুরে পৌরভবনে গিয়ে নড়াইল পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরার সাথে অশালীন আচরণ ও হুমকি দেয়। এ ঘটনায় তিনি নড়াইল সদর থানায় মামলা করেন এবং জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন। কিন্তু পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার করতে পারেনি। উল্টো সন্ত্রাসারীরা পৌর মেয়রের অপসারন দাবিতে মঙ্গলবার (২৮এপ্রিল) মানববন্ধন করে। এমনকি মেয়রের বিরূদ্ধে নানা অপপ্রচার করছে। সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে পৌর ভবনে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। তারপরও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করা হয়নি। বক্তব্যে মেয়র বলেন, এই সন্ত্রাসী চাঁদাবাজদের যদি দমন করা না যায় তাহলে নড়াইল পৌরসভার সাধারণ মানুষ বিভিন্নভাবে নিগৃহীত হবে। মানববন্ধন শেষে শহরে বিক্ষোভ মিছিল হয়।
প্রসঙ্গত: গত ২৬ এপ্রিল শহরের পুরাতন বাসটার্মিনালে পৌরসভার অস্থায়ি কার্যালয়ে পৌরসভার ১৪২৯ সালের হাট-বাজার, টার্মিনাল ইজারা সংক্রান্ত সভা চলছিল। দুপুরের দিকে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক নিলয় রায় বাঁধন সহ ৮/১০জন মেয়রের কার্যালয়ে অগ্নেয়স্ত্রসহ প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালি দিয়ে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন বলে জানিয়েছেন ও মামলা করেছেন পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা। চাঁদার দাবিতে মেয়রকে হত্যাসহ পৌরসভায় প্রবেশ করতে না দেয়ার হুমকি দেয়া হয় বলেও অভিযোগ করা হয়। এ ঘটনায় তাৎক্ষনিক পৌর পরিষদ জরুরী সভা করে সভায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে সন্ত্রাসীদের বিরূদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান। এ ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক নিলয় রায় বাঁধন, উচ্ছাস, শাওন সহ অজ্ঞাত ৮/১০ জন কে দায়ী করে ওই রাতেই মেয়র বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। বক্তব্য দেয়ার সময় মেয়র সহ ও অন্যান্য বক্তারা একাধিকবার জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আলমগীর হোসেন আলম’র নাম উচ্চারন করে বলেন,আলমের ছত্র ছায়ায় এসব সন্ত্রাসীরা দীর্ঘদিন ধরে অপকর্ম করে আসছে।