বাগেরহাটের চিতলমারীতে থানায় হামলা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( সদর সার্কেলের) ইউএনও ও ওসির সরকারি গাড়িসহ থানার জানালার গ্লাস ভাংচুর ও পুলিশকে মারপিটের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার থানার উপ- পরিদর্শক ( এসআই) শামিম হাওরাদার বাদি হয়ে ৫৯ জন কে আসামি করে মামলা করেন। মামলার বিষয়টি যুগান্তরকে নিশ্চত করেছেন চিতলমারী থানার ওসি এ, ই্চ, এম কামরুজ্জামান।
মামরায় ৫৯ জনের নাম উল্লেখ এবং দুইশ ৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ মামলায় পুলিশ ২২ জনকে আটক করেছ। আটককৃতদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
আরো পড়ুনঃ
পুলিশ জানায়, চিতলমারী উপজেলার চরডাকাতিয়া গ্রামের রমনী কান্ত বালার মেয়ে রনিতা বালা রনির ফেসবুক আইডি থেকে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটুক্তি মুলক একটি পোষ্টকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে রবিবার রাতে পুলিশ ওই কলেজ ছাত্রীকে মোবাইল ফোনসহ আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
পোস্টটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় উত্তেজনা ও ক্ষোবের সৃষ্টি হয়। ২০ জুন সোমবার রনিতা বালার শাস্তি দাবি করে একদল বিক্ষোভকারী থানা ঘেরাও করে। পুলিশের উপর হামলা করে। বিক্ষোভকারীরা এ সময় দুইটি পুলিশ ভ্যান ও উপজেলা নিরর্বাহী অফিসারের গাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এছাড়া থানা ভবনের জানালার গ্লাস ভাংচরু ও থানার সামনে থাকা পুলিশের ৭-৮ টি মোটর সাইকেল ভাংচুর করে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে বিক্ষোভকারীদের ইট-পাটকেলের আঘাতে চিতলমারী থানায় ওসি এ এইসএম কামরুজ্জামানসহ ১২ পুলিশ সদস্য আহত হয়। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঘটনাস্থালে পৌঁছানের পথে তার উপরও হামলা চালানো হয়। এ সময় অল্পের জন্য রক্ষা পান তিনি।
এ ব্যাপারে চিতলমারী থানার ওসি এ এইসএম কামরুজ্জামান নবধারা কে বলেন, পুলিশের উপর হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় ২১ জুন মঙ্গলবার ৫৯ জনের নাম উল্লেখসহ আরোও ২৫০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলা নং ১৩। মামলার অন্য আসামীদের আটকের চেষ্টা চলছে। এছাড়া আটক রনিতা বালা রনির বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননাকর পোস্টের অভিযোগে শেরেবাংলা ডিগ্রি কলেজ এক ছাত্র মো. রুবেল মুন্সি বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। বর্তমানে সার্বিক পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছে পুলিশ। বর্তমান পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।