1. nabadhara@gmail.com : Nabadhara : Nabadhara ADMIN
  2. bayzidnews@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  3. bayzid.bd255@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  4. mehadi.news@gmail.com : MEHADI HASAN : MEHADI HASAN
  5. jmitsolution24@gmail.com : support :
  6. mejbasupto@gmail.com : Mejba Rahman : Mejba Rahman
সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:১৯ অপরাহ্ন

কালিয়ায় ইভটিজিংয়ের বিচারের নামে প্রহসন, ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী !

মোঃ জিহাদুল ইসলাম, নড়াইল প্রতিনিধি
  • প্রকাশিতঃ শুক্রবার, ৮ জুলাই, ২০২২
  • ১৯২ জন নিউজটি পড়েছেন।

নড়াইলের কালিয়া উপজেলার কলাবাড়ীয়া হাইস্কুলে ইভটিজার মিজানের বিচারের নামে প্রহসন করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিচারের আসরে দাওয়াত প্রাপ্ত কয়েকজন গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। কোটিপতি বাবার ছেলের ইভটিজিংয়ের বিচারের নামে প্রধান শিক্ষকসহ স্কুল কমিটির আতাত করা তারা মেনে নিতে না পেরে স্থান ত্যাগ করেছেন বলে জানান। ০৮ জুলাই (শুক্রবার) ১১ টায় প্রধান শিক্ষকের কক্ষে এ বিচারের কার্য পরিচালিত হয়। এ ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে উপযুক্ত বিচার দাবি করেছেন স্থাণীয়রা। মিজান সরদার ওই গ্রামের ইমরান সরদারের ছেলে।

স্থাণীয় বাজারবাসী জানান, গত মাসের ২৯ তারিখ দুপুরে কলাবাড়ীয়া হাই স্কুলের পাশে ওই স্কুলের একটি মেয়েকে ইভটিজিংয়ের সময় মিজান সরদার (১৩) নামে এক বখাটেকে আটক করে উত্তম-মাধ্যম দেওয়া হয় এবং ওই দিনই বিকেলে বখাটে মিজান তার কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে দেশীয় অস্ত্রে বাজারবাসীদের হামলা করতে আসলে তারা প্রতিরোধ করতে উদ্ধত হয়। এ সময় স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মিজানকে ধরে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের নিকট সোপর্দ করে। এ সময় মিজানের দাদা খবির সরদার ধার্য্যকৃত বিচারের দিন ইভটিজারকে হাজির করানোর লিখিত অঙ্গীকার দিয়ে তাকে নিয়ে যান। কিন্তু ওই দিন গন্যমান্য ও স্কুল কমিটির লোকজন হাজির হলেও মিজান হাজির হয়নি। পরবর্তীতে ৮ জুলাই তারিখে স্কুল কমিটি বিচারের নামে প্রহসন করায় তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন তারা। মিজানের পিতা ইমরান সরদার বলেন, তার ছেলে আগে ওই স্কুলে পড়তো। তার পরিচিত এক ছাত্রীর সাথে সে রাস্তার পাশে কথা বলছিল। এ সময় বাজারের কিছু লোক তাকে হামলা করে। আজ বিচারের দিনে আমাকে দায়িত্ব দিলে আমি তাকে একটা চড় দিলে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এতে হয় অনেকে অসšুÍষ্ট হতে পারে।

ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মহাসীন বলেন, ইভটিারকে ৫টি বেতের বাড়ী দেওয়া হয়েছে। এছাড়া উপস্থিত সমাজের গন্যমান্যদের কাছে ও প্রধান শিক্ষকের কাছে মাফ চাওয়ানো হয়েছে। কলাবাড়ীয়া হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক গণপতি বলেন, ওটা ইভটিজিং ছিলনা। বিচারের আসরে ওই ছেলে সমাজের কাছে ক্ষমা চেয়েছে এবং তার ভুল স্বীকার করেছে। প্রবীন ব্যক্তিত্ব ডাঃ রেজাউল হক মল্লিক ও মুকুল মোল্যাসহ আরো অনেকে বলেন, দাওয়াতের চিঠি পেয়েই ওখানে গিয়েছিলাম। কিন্তু এ ধরণের বিচার হবে জানলে আসতামনা। ইভটিজারদের সঠিকভাবে বিচারের আওতায় না আনলে পরবর্তীতে স্কুলই ক্ষতিগ্রস্থ হবে। নিরাপত্তাহীনতার কারণে কোন অভিভাবক তার মেয়েদের এই স্কুলে পড়াতে দিবেনা। এমনটি আমার আশা করিনি।

এদিকে ইভটিজারের বিচারের বিষয়ে মিজানের বাবা ইমরান সরদার, স্কুল কমিটির সদস্য ও. প্রধান শিক্ষকের বক্তব্যে ভিন্নতা পরিলক্ষিত হওয়ায় দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved সর্বস্বত্বঃ দেশ হাসান
Design & Developed By : JM IT SOLUTION