বাগেরহাটের চিতলমারীর বলেশ্বর নদের জেগে ওঠা চরের জমি এখন চাষাবাদের জন্য উর্বর ভূমিতে পরিণত হয়েছে। এখানকার জমিতে সারা বছরই ফসল ফলায় চাষিরা। এক কথায় বলাচলে কৃষি বিপ্লব ঘটিয়েছে কৃষকরা। উচ্চফলনশীল জাতের বিভিন্ন ফসল এখন ক্ষেতজুড়ে নজর কাড়ছে। ধান,পাট, সবজি চাষের পাশাপাশি বলেশ্বর নদের তীরবর্তী চরডাকাতিয়া গ্রামের বাসিন্দারা আখ চাষের মাধ্যমে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার সীমান্তবর্তী বলেশ্বরের জেগে ওঠা চরের জমিতে এ বছর ব্যাপকভাবে আখের আবাদ করা হয়েছে। এসব জমিতে চাষিরা রাত-দিন ক্ষেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। এখানকার জমিতে গেন্ডারি, তুরপিনসহ নানা উচ্চ ফলনশীল জাতের আখের আবাদ করা হয়েছে। বর্তমানে বাজারে তোলার উপযোগী হওয়ায় আখ বাজারে তুলতে শুরু করেছেন অনেকে । আখ কিনতে বাইরে থেকে পাইকাররা এসে ভিড় জমাচ্ছেন। এলাকার চাহিদা মিটিয়ে এসব আখ আশপাশের উপজেলায় নিয়েও বিক্রি করা হচ্ছে। এ বছর বাজার দর ভালো থাকায় খুশি চাষিরা। অনাবৃষ্টির কারণে কিছু ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেটি সারিয়ে তোলার চেষ্টায় অনেকে ব্যস্ত। আখ চাষ বেশ লাভজনক হওয়ায় এটি চাষের মাধ্যমে অতীতের লোকসান কাটিয়ে ওঠা সম্ভব বলে চাষিদের অনেকে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
আখ চাষি জিতেন ডাকাই, রনজিত হিরা, কিরণ মন্ডল জানান, চরের জমিতে অন্য ফসলের চেয়ে আখের ফলন বেশ ভালো হয়েছে। এখানকার আখে যেমন রস থাকে তেমনি সুমিষ্টি। এ বছর অনাবৃষ্টিতে আখ ক্ষেত কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এ ঘাটতি কাটিয়ে তোলার জন্য নানা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। এছাড়া এখনকার জমিতে চোখ জুড়ানো ফসল দেখতে প্রকৃতিপ্রেমীরা একটু সবুজের ছোঁয়াপেতে প্রতিদিন ছুটে আসেন বলেশ্বর পাড়ে।
উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা অসীম কুমার দাস নবধারা কে বলেন, এ বছর চরবানিয়ারী এলাকার জমিতে আখের চাষ করা হয়েছে। আখ একটি লাভজনক ফসল। ফলন ভালো হলে প্রতি হেক্টর জমি থেকে ৭ থেকে ৮ লাখ টাকার আখ বিক্রি করা সম্ভব। অন্য এলাকার চেয়ে এখানকার মাটিতে আখ ভালো জন্মে। এটি চাষের মাধ্যমে চাষিরা লাভবান হতে পারেন।