বাগেরহাটের চিতলমারীতে বাগদা চিংড়ি মৌসুমের শুরুতে প্রচন্ড দাবদাহে অক্সিজেনের অভাব ও পানির গভীরতা কম থাকায় চিংড়ি মাছ ভাইরাসের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। উৎপাদন মৌসুমের প্রথম থেকেই চিংড়ি চাষে এমন বিপর্যায়ে চিতলমারীর অধিকাংশ চিংড়ি চাষি লোকসানের মুখে পড়েছেন।
স্থানীয় মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, এটি হোয়াইট স্পর্ট ভাইরাস। এ ভাইরাস একবার লাগলে তা আর ঠেকানো যায়না। ফলে পুঁজি হারানোর শঙ্কায় আছে চাষিরা । ঘেরে পানির গভীরতা কম অস্বাভাবিক তাপমাত্রার বিকালে গুড়ি বৃষ্টির কারনে পানিতে অক্্িরজেনের পতন ঘটে, চিংড়ি মাছ ভেসে মারা যাচ্ছে। এছাড়া মৎস্য বিভাগের পরামর্শ গ্রহন না করায় পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে বলে দাবি মৎস্য বিভাগের।
এ উপজেলায় ৪৭হাজার ৩৫ হেক্টর জমিতে ১৬ হাজার ৭১০টি চিংড়ি ঘের রয়েছে। যার মোট আয়তন ১৬ হাজার ৮৩৩ একর । এর মধ্যে বাগদা ১হাজার ৬শ ও ১৫হাজার ১১০টি ঘেরে গলদা চিংড়ি চাষ করা হয়।এখনকার চাষিরা বছরে ৫৮১ মেট্রিকটন বাগদা ও ২হাজার ৬৫গ মেট্রিকটন গলদা চিংড়ি এবং বিপুল পরিমান সাদা মাছ উৎপাদন করে থাকেন। কিন্তু প্রচন্ড দাবদাহ ও পানির স্বল্পতার কারনে ভাইরাসের আক্রমনে তারা দুশ্চিন্তায় পড়েছে।
এবিষয় চিতলমারী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শেখ আসাদুল্লাহ জানান, ভাইরাসের কারন নিম্ম মানের পোনা, পানির গভীরতা সর্বচ্ছ সাড়ে তিন ফুটের কম থাকায়, জৈব নিরাপত্তার অভাব ও প্রচন্ড দাবদাহে পানিতে অক্সিজেনের অভাবে চিংড়ি মাছ মারা যাচ্ছে। ।তবে ঘের প্রস্তুত, পানির গভীরতা বৃদ্ধি ও ভাইরাস মুক্ত পোনা ছাড়তে চাষিদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।