নড়াইলের কালিয়া উপজেলার নড়াগাতী থানার ১ নং ওয়ার্ড চোরখালী গ্রামের নাছিরুল মোল্যার মেয়ে ও বড়দিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেনী পড়ুয়া ছাত্রী শামীমা আক্তার কনা নিখোঁজের ২ মাস পরে সন্ধান মিলেছে ঢাকায়। সে এখন ভগ্নিপতির স্ত্রী হিসাবে ঢাকা ভাড়া বাসায় অবস্থান করছে বলে জানিয়েছেন ওই মেয়ের মা মাজেদা বেগম, বাবা ও তার চাচা আমযাদ মোল্যা।
১১মে নিখোঁজের পর নড়াগাতী থানায় সাধারণ ডায়েরী করা হলেও থানা পুলিশ বা র্যাব উদ্ধার করতে পারেনি শামীমাকে। ৩১ জুলাই (শনিবার) বিকেলে শামীমাদের বাড়ীতে গেলে এ তথ্য জানান তার স্বজনরা।
শামীমার মা মাজেদা ও চাচা আমজাদ মোল্যা জানান, ২০১৬ সালে শামিমার বড় বোন নাছরিনের সাথে রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি থানার নারুয়া গ্রামের শাহিদ বিশ্বাসের ছেলে ও ঢাকার ব্যবসায়ী তালহা বিশ্বাসের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের ৩ মাস পরে তারা ঢাকায় অবস্থান করে। তাদের ৪ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। চলতি বছরের মে মাসের ১১ তারিখে শামিমা আক্তার কনা নিখোঁজ হলে বিষয়টি তার স্বজনরা স্যোসাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে। কিছু দিন পর ফয়সাল নামে একটি ছেলে এ্যাপসের মাধ্যমে শামীমার পরিবারকে অপহরন হয়েছে মর্মে এলোমেলো কথা বলতে থাকে এবং আমাদের কাছ থেকে ওই আইডি নিয়ে আরিফও কথা বলায় ও বিভিন্ন ডকুমেন্ট তাকে সরবরাহ করছে সন্দেহে তার বিরুদ্ধে মৌখিক অভিযোগ দিলে পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
স্থাণীয় সুত্রে জানা যায়, শামীমা নিখোঁজের পর থেকে আরিফ মল্লিক ও খাশিয়াল ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মোল্যা মিজানুর রহমান ও সাধারান সম্পাদক মোল্যা আনোয়ার হোসেন শামীমাকে উদ্ধারে তার স্বজনদের নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে যাতায়াত করা সত্বেও আরিফের নামে অভিযোগ আনা ও থানা পুলিশ দিয়ে হয়রানী করায় তার মানসম্মান ক্ষুন্ন হয়। এ বিষয়ে স্থাণীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ আরিফের সরলতার বিষয়ে অবগত করলেও থানা পুলিশ তাকে হয়রানী করে শামীমার স্বজনদের অভিযোগে, এটা দুঃখজনক। ওই মেয়ে এখন ভগ্নিপতির সংসারে অথচ নিরীহ আরিফকে সন্দেহ করে হয়রানী করাটা ঠিক হয়নি বলে তারা জানান।
এ দিকে আরিফ মল্লিক জানান, ফয়সাল নামে ছেলেটির সাথে শামীমার ভাইয়ের কথা হতো নিয়মিত এবং সেই তাকে তথ্য সরবরাহ করেছে। খাশিয়াল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি খান আজাদ আলী, ১ নং ওয়ার্ডের সভাপতি মোল্যা মিজানুর রহমান ও সাধারান সম্পাদক মোল্যা আনোয়ার হোসেন বলেন, আরিফ মল্লিক আওয়ামীলীগের একজন একনিষ্ঠ কর্মী। তার এলাকার মেয়ে নিখোঁজের বিষয়ে উদ্ধার তৎপরতায় সে আমাদের নিয়ে অগ্র ভূমিকা পালন করেছে সব সময়। তাকে এভাবে হয়রানী করায় তার মান সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে ঠিক হয়নি।