চিতলমারীতে আষাঢ়, শ্রাবণের ভরা বর্ষা মৌসুমেও বৃষ্টির দেখা নেই। প্রচন্ড দাবদাহে পুড়ছে রোপা আমন ও সবজি ক্ষেত, মরছে ঘেরের মাছ। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে সাধারন মানুষ। আষাঢ়-শ্রাবণেএমন বৈরি আবহাওয়া আগে কখনো দেখেনি কেউ। অনাবৃষ্টিতে কৃষি প্রধান এ উপজেলার মৎস্য, সবজি ও রোপা আমন চাষিরা চরম বিপাকে পড়ছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, কদিন আগে আমন ধান রোপন করা হয়েছে। কিন্তু বিষ্টির অভাবে তা মরতে বসেছে। উপজেলার প্রতিটি মাঠের চিত্রই একইরকম। ধানের পাশাপাশি বিভিন্ন সবজির ক্ষেতও নষ্ট হতে বসেছে।
এ উপজেলায় মৎস্য ঘেরের পাড়ে ব্যাপক হারে বর্ষাকালীন সবজি আবাদ করা হয়েছে। এসব ফসল বর্ষা নির্ভরশীল হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। এছাড়া প্রচন্ড রোদে ঘেরে চিংড়ি মাছ ভাইরাসে মারা যাচ্ছে। এমন চলতে থাকলে চরম লোকসানে পড়তে হবে মৎস্য,সবজি ও আমন চাষিদের। প্রচÐ দাবদাহে সাধারন মানুষও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।এতে চরম হতাশায় ভুগছেন মানুষ।
এ বিষয়ে উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি অফিসার অসীম কুমার দাস জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের একটা বিরূপ প্রভাব পড়েছে। ফলে ভরা বর্ষামৌসুমে বৃষ্টি হচ্ছে না তেমন। এ বছর উপজেলায় ব্যাপক হারে বর্ষাকালীন সবজি ও অমন চাষ করা হয়েছে। এসব ক্ষেতে স্যালো বা নলকুপ দিয়ে সেচের ব্যাবস্থার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। তা না হলে চাষিদের ফলনে ঘাটতি দেখা দিবে।