আজ দুপুরে মোরেলগঞ্জে রবিউল ইসলাম খান (২৫) নামে এক বিদ্যুৎ কর্মী (ইলেকট্রিশিয়ান) বিদ্যুৎস্পর্শে মারা গেছে। আজ বুধবার বেলা অনুমান সাড়ে বারোটার সময়ে জিউধরা ইউনিয়নের মাদ্রাসার বাজার এলাকায় এ মর্মান্তিক ও হৃদয় বিদারক দুর্ঘটনাটি ঘটে।
যা এলাকায় বিশাদের ছায়া ফেলেছে। ঘটনার সময় লাইনম্যান নিতিশ সরকারের এ কাজটি করার কথা ছিলো। কিন্তু বিধি বাম। তার পরিবর্তে তখন খাম্বায় উঠে লাইনে কাজ করাচ্ছিলেন রবিউল ইসলাম নামে স্থানীয় এক ইলেক্ট্রিশিয়ানকে। এক পর্যায়ে সাবস্টেশন থেকে লাইনম্যানের সাথে কথা না বলে আকস্মিকভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ায় স্থানীয় ঐ ইলেক্ট্রিশিয়ান রবিউলের শরীরে বিদ্যুৎ তরঙ্গায়িত হয়ে তাৎক্ষণিকভাবে করুন মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এসময় ঘটনাস্থলে থাকা বিদ্যুৎ বিভাগের লাইনম্যান নিতিশ সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নিহত রবিউলের পিতার নামঃ শাহালম খাঁন জিউধরা,গ্রামঃ বরইতলা,থানাঃ মোরেলগঞ্জ, জেলাঃ বাগেরহাট। নিহত ইলেকট্রিশিয়ান রবিউল মৃত্যুকালে স্ত্রী ও একটি কন্যা সন্তান সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
স্থানীয় ও বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজনের কাছ থেকে জানা যায় আজ সকালে জরুরী লাইনে কাজ করার জন্য ইলেকট্রিশিয়ান রবিউলকে ঐ নিতিশ সরকার ডেকে আনে। তার হাতের কাজ খুবই ভালো ছিলো,ইতিপূর্বেও তার দ্বারা জরুরি সময়ে এ ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুৎ এর লাইনে কাজ করানো হতো। মোরেলগঞ্জ সাবস্টেশনে অপর লাইনম্যান বিপ্লবকে বসিয়ে রাখা হয়েছিলো লাইন বন্ধ করার পরে সতর্কতার সাথে রবিউল উক্ত খাম্বায় ওঠে। কাজ শুরু করে, কাজ শেষ হবার আগেই বিপ্লব লাইন চালু করে দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। কেন বিপ্লব কোনরকম আগাম বার্তা না দিয়ে লাইনে বিদ্যুৎ সরবরাহ মুরু করার স্যুইচ চেপে দিলো তা এখন পর্যন্ত রহস্যাবৃত। এ ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয়রা লাইনম্যান নিতিশ সরকারকে আটক করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। খবর পেয়ে নিকটস্থ ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বলে থানার ওসি মো. সাইদুর রহমান জানিয়েছেন।
পল্লী বিদ্যুৎ মোরেলগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম এবিএম মিজানুর রহমান বলেন, রবিউল স্থানীয় একজন ইলেকট্রিশিয়ান। পল্লী বিদ্যুতের তালকিাভুক্ত ইলেকট্রিশিান নন। খাম্বায় উঠে তার কাজ করার কথা নয়। বিষয়টি কি কারণে ঘটেছে আমরা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার পরে মাদ্রাসা বাজারে শতশত লোক জড়ো হয়েছেন। কোনরকম প্রকার শান্তি ভঙ্গের ন্যায় ঘটনা ঘটেনি।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিদর্শন করেন।