1. nabadhara@gmail.com : Nabadhara : Nabadhara ADMIN
  2. bayzidnews@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  3. bayzid.bd255@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  4. mehadi.news@gmail.com : MEHADI HASAN : MEHADI HASAN
  5. jmitsolution24@gmail.com : support :
  6. mejbasupto@gmail.com : Mejba Rahman : Mejba Rahman
সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:২২ অপরাহ্ন

নড়াইলে পানির অভাবে পাট নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষকরা

 শরিফুল ইসলাম, নড়াইল
  • প্রকাশিতঃ বৃহস্পতিবার, ৪ আগস্ট, ২০২২
  • ২০০ জন নিউজটি পড়েছেন।

নড়াইলের কৃষকরা পানির অভাবে পাট নিয়ে মহা বিপাকে পড়েছেন। জেলার কৃষকরা পানির অভাবে পাট জাগ দিতে পারছেন না। এখন বর্ষা মৌসুম তবুও ভারী বৃষ্টির দেখা নেই নড়াইলের তিনটি উপজেলায়। কৃষকরা বৃষ্টির আশায় পাট কেটে জমিতে গাঁদি সাজিয়ে রেখেছেন। এ বছর জেলার সদর লোহাগড়া ও কালিয়া উপজেলার খাল, বিল ও জলাশয়ে তেমন পানি নেই।

এলাকার কৃষকরা বলছেন খাল, বিল ও জলাশয়ে যে পানি আছে তা পাট পঁচানোর জন্য যথেষ্ট নয়। পাট রোদে পুড়ে মরে লালচে হয়ে যাচ্ছে ক্ষেতেই। তাই উপায় না পেয়ে অপরিস্কার অল্প পানিতে পাট জাগ দিতে হচ্ছে কৃষকদের। ফলে পানি পঁচে পাটের রঙ কালো হয়ে যাচ্ছে। কালো পাট বাজারে নিয়ে কৃষকরা ভালো দাম পাচ্ছেন না। জুলাই মাস শেষ আগষ্ট মাস শুরু এথন পর্ষন্ত কোন ভারী বৃষ্টিপাত হয়নি। খাল-বিলেও তেমন পানি নেই। তাই পানির অভাবে কৃষকরা পাট জাগ দিতে পারছেন না। প্রচন্ড রোদের তাপে পাট শুকিয়ে যাচ্ছে ক্ষেতেই। সদর উপজেলার শেখহাটি গ্রামের কৃষক রাজু শেখ বলেন, আমি এক একর জমিতে পাটের চাষ করেছিলাম। ফলনও ভালো হয়েছে। তবে পাট কেটে এখন বিপাকে পড়েছি। পানির অভাবে পাট পচানোর জায়গা নেই। তাই সড়কের পাশে ফেলে রেখেছি। কালিয়া উপজেলার চোরখালি গ্রামের জিহাদুল ইসলাম বলেন, ‘অন্যান্য বছর গুলোতে আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে প্রচুর বৃষ্টি হলেও এ বছর বৃষ্টি নেই। পানির অভাবে পাট জাগ দিতে পারছি না। প্রচন্ড রোদে কাটা পাট শুকিয়ে যাচ্ছে।’ লোহাগড়া উপজেলার করফা গ্রামের ইমরুল সিকদার বলেন, এ বছর আমি কয়েক বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি। আমার পাটের ফলনও ভালো হয়েছে। কিন্তু খাল-বিলে পানি না থাকায় পাট জাগ দিতে পারছি না। উপজেলার অধিকাংশ পাট চাষিদের একই অবস্থা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, নড়াইল সদর উপজেলায় পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৬ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে। আবাদ হয়েছে ৭ হাজার ৩৫ হেক্টর জমিতে। আবাদকৃত জমিতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮০ হাজার ৯০৩ বেল পাট। লোহাগড়া উপজেলায় পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১১ হাজার ৭৩৫ হেক্টর জমিতে। আবাদ হয়েছে ১২ হাজার ১৫৫ হেক্টর জমিতে। আবাদকৃত জমিতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৭৮২ বেল পাট। কালিয়া উপজেলায় পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে। আবাদ হয়েছে ৪ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে। আবাদকৃত জমিতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৭ হাজার ৭২৫ বেল পাট।

কৃষিস্প্রসারণ অধিদপ্তর নড়াইলের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ দীপক কুমার রায় বলেন, এ বছর পাট নিয়ে কৃষকরা মহা বিপদে আছেন। পাট কেটেই জমিতে আমনের চাষ করা হয়। তাই সময় মতো পাট কাটতে না পারলে আমন চাষ ব্যাহত হতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved সর্বস্বত্বঃ দেশ হাসান
Design & Developed By : JM IT SOLUTION