জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সহ ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্টের সকল শহীদদের স্মরনে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার নড়াগাতীতে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত হয়েছে। নড়াগাতি থানা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে সোমবার (২২ আগষ্ট) বিকাল ৪ টায় থানা আওয়ামীলীগ অফিস চত্ত্বরে এ আলোচনা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

এ সময় সাংসদ কবিরুল হক মুক্তির নেত্রিত্বে একটি শোক র‌্যালি থানার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে। নড়াগাতি থানা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক খান শামীম রহমান (ওসি)’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, নড়াইল-১ আসনের সাংসদ বি এম কবিরুল হক মুক্তি। বিশেষ অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কালিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ ইব্রাইম শেখ, উপজেলা যুবলীগের আহব্বায়ক রবিউল ইসলাম, সাবেক পৌর মেয়র মুসফিকুর রহমান লিটন, নড়াগাতি থানা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক শাহ মোঃ ফোরকান মোল্যা, থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহাবুবুল আলম, থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদক মুরছালিন খন্দকার লালিফ, সাবেক সম্পাদক হাচিবুল আলম উজ্জলসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাংসদ কবিরুল হক মুক্তি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ওপর আস্থা রাখতে হবে। এই বাংলাদেশে এক সময় উগ্র জঙ্গীবাদ ধর্মান্ধ শক্তি শ্লোগান দিয়েছে “আমরা সবাই তালেবান বাংলা হবে আফগান,” এই বাংলাদেশে ২১ শে আগষ্টে গ্রেনেড হামলা হয়েছে। একটি গনতান্ত্রিক দেশ, যে দেশে সরকার আছে, আইনের শাসন আছে, সেই দেশে কী করে একজন বিরোধী দলীয় নেত্রীকে যুদ্ধ ক্ষেত্রে ব্যবহৃত গ্রেনেড মারতে পারে! জননেত্রী শেখ হাসিনা ও কবিরুল হক মুক্তি এক ও অভিন্ন। অনেক চটকদার কথা অনেকেই বলবে, আপনারা চোখ-কান খুলে শুনে রাখুন- যত দিন শেখ হাসিনা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নেতৃত্ব দেবে, যতদিন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এই দেশে থাকবে, ততদিন ইকলাজ সাহেবের সন্তান এই জনপদের নেতৃত্ব দেবে।

তিনি আরো বলেন, যারা স্বজন হারিয়েছে তারা বোঝে স্বজন হারানোর ব্যাথা। আজ যারা আওয়ামী লীগের প্রতিক নৌকা বিক্রি করে খাচ্ছেন, থানায় বসে সালিশীর নামে দালালী করছেন, আপনারা সাবধান হয়ে যান, আপনাদের জন্য আওয়ামীলীগ কলঙ্কিত হতে দিব না।