1. nabadhara@gmail.com : Nabadhara : Nabadhara ADMIN
  2. bayzidnews@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  3. bayzid.bd255@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  4. mehadi.news@gmail.com : MEHADI HASAN : MEHADI HASAN
  5. jmitsolution24@gmail.com : support :
  6. mejbasupto@gmail.com : Mejba Rahman : Mejba Rahman
মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:২৬ পূর্বাহ্ন

নড়াইলে স্বামীকে মাদক সেবনে বাধা দেয়ায় গৃহবধূকে অমানবিক নির্যাতন

 শরিফুল ইসলাম, নড়াইল
  • প্রকাশিতঃ সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ২০১ জন নিউজটি পড়েছেন।

নড়াইল সদর উপজেলার পইলডাঙ্গা গ্রামে স্বামীকে মাদকসেবনে বাধা দেয়ায় স্ত্রীকে অমানবিক নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এখন শারীরিক যন্ত্রণায় নড়াইল সদর হাসপাতালের বিছানায় ৪দিন ধরে কাতরাচ্ছেন নির্যাতিতা গৃহবধূ কাজী সুমাইয়া ইসলাম।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর বিকেলে মাদকসেবনে বাধা দেয়ায় কথাকাটির জের ধরে আশিক তার স্ত্রীকে কিল-ঘুষি ছাড়াও রড দিয়ে বেদম মারধর করে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় স্বামী আশিকসহ শ্বশুর-শাশুড়ি ও ননদের নামে সদর থানায় মামলা হয়েছে।

মেধাবী সুমাইয়া ইসলাম লোহাগড়া সরকারি আদর্শ কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। এসএসসিতে জিপিএ-৪ পেয়েছিল। স্বামী আশিক নড়াইলে নির্মাণাধীন রেলওয়ে প্রকল্পে চীনাদের সঙ্গে দোভাষী হিসেবে কাজ করেন। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১১ মাস আগে নড়াইল সদরের পইলডাঙ্গা গ্রামের মনসুর খানের ছেলে আশিক খানের সঙ্গে লোহাগড়া উপজেলার শামুকখোলা গ্রামের নজরুল ইসলাম বাদশার মেয়ে কাজী সুমাইয়া ইসলামের বিয়ে হয়। বিয়ের পর সুমাইয়া জানতে পারেন তার স্বামী মাদকাসক্ত। সংসারে সুখের কথা বিবেচনায় স্বামীর মাদকাসক্তের বিষয়টি গোপন রাখলেও পরে তা জানাজানি হয়ে যায়। স্বামীকে মাদক থেকে দুরে রাখার জন্য অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন সুমাইয়া। এ কারণে প্রায়ই সুমাইয়াকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে হতো। এরই জের ধরে গত ১৫ সেপ্টেম্বর বিকেলে আশিক তার স্ত্রীকে বেদম মারধর করে পালিয়ে যায়।

গৃহবধূ সুমাইয়া বাবা অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য নজরুল ইসলাম বাদশা বলেন, বিয়ের দুই মাস পর থেকেই আমার মেয়ের ওপর নির্যাতন শুরু হয়েছে। জামাই আশিক প্রায়ই সুমাইয়াকে মারধর করে। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার পারিবারিক ভাবে শালিস হয়েছে। তবে আশিকের নির্যাতন বন্ধ হয়নি। সর্বশেষ ১৫ সেপ্টেম্বর আমার মেয়েকে রড দিয়ে বেদম মারধর করে আশিক। এতে তার তিনটি দাঁত ভেঙ্গে গেছে। ঠোঁটে ১০টি সেলাই দিতে হয়েছে। মাথা, পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত রয়েছে। আমার মেয়েটি ঠিকমত কথা বলতে পারছে না। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।

নড়াইল সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার পার্থ সারথি রায় জানান, সুমাইয়ার মাথা, ঠোঁটসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তার সিটিস্ক্যানসহ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরিক্ষা দেয়া হয়েছে।

নড়াইল সদর থানার ওসি (চলতি দায়িত্ব) মাহমুদুর রহমান বলেন, ভুক্তভোগী গৃহবধূর বাবা বাদী হয়ে চারজনের নামে গত শুক্রবার রাত ৮টার দিকে মামলা করেছেন। তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved সর্বস্বত্বঃ দেশ হাসান
Design & Developed By : JM IT SOLUTION