1. nabadhara@gmail.com : Nabadhara : Nabadhara ADMIN
  2. bayzidnews@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  3. bayzid.bd255@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  4. mehadi.news@gmail.com : MEHADI HASAN : MEHADI HASAN
  5. jmitsolution24@gmail.com : support :
  6. mejbasupto@gmail.com : Mejba Rahman : Mejba Rahman
বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৪০ পূর্বাহ্ন

কাপাসিয়া ভূয়া ডাক্তারের ইনজেকশনে মৃত্যুশয্যায় রোগী

 সামসুল হক জুয়েল, গাজীপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিতঃ শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ৩১৩ জন নিউজটি পড়েছেন।

ঔষধের দোকানী যখন ডাক্তার হয়, তখন অঘটন স্বাভাবিক বিষয়। ঔষধের বিক্রেতা ভূয়া ডাক্তার অমল চন্দ্র সরকার প্রথমেই রোগীকে জিজ্ঞেস করেন কত টাকা নিয়ে এসেছেন। টাকার পরিমাণ বুঝে ব্যবস্থাপত্র সহ রোগীর হাতে ধরিয়ে দেন সর্বনিম্ন হাজার টাকার ঔষধ। ডাক্তার পরিচয়ে ফার্মেসি ব্যবসার আড়ালে রোগীদের ফাঁদে ফেলে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে বানিয়েছেন আলিশান বাড়ি। দোকানের নামে করা পেইডের উপরের অংশে নামের আগে কম্পিউটার টাইপিং ডাক্তার বসিয়ে তৈরি করেছেন পেসক্রিপশন (ব্যবস্থাপত্র)। ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার কোরচাই এলাকার সংখ্যালগো হিন্দু সম্প্রদায়ে ভূয়া ডাক্তার অমল চন্দ্র সরকারের জন্ম। সে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সোহাগপুর বাজারে ‘অনিতা মেডিকেল হল’ নামে গড়ে তুলেন জমজমাট ফার্মেসি ব্যবসা। ঔষধ বিক্রির আড়ালে নিজেকে ডাক্তার পরিচয়ে রোগীদের হাতে ব্যবস্থাপত্র (পেসক্রিপশন) ধরিয়ে দিয়ে হাতিয়ে নেন হাজার হাজার টাকা।

স্থানীয়রা জানায়, ফার্মাসিস্টের একটা কোর্স করে কোনো প্রকার ডিগ্রী না থাকলেও অমল চন্দ্র সরকার নিজেকে ডাক্তার পরিচয়ে মানুষকে ধোকা দিয়ে আসছে বহু বছর যাবত। যে কোনো ধরনের সমস্যা নিয়ে মানুষ আসলেই ভুলবাল বুঝিয়ে ইনজেকশন পুশ কার হয়। গত ২৫ আগস্ট চর্মরোগে আক্রান্ত শহিদুল্লাহ (৫৫) নামে একজনকে স্টেরয়েড জাতীয় ইনজেকশন পুশ করে গুরুতর অসুস্থ করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে নামধারী ভূয়া ডাক্তার অমলের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী রোগী শহিদুল্লাহ একই উপজেলার টোক ইউনিয়নের বীরউজলী আমতলী এলাকার সাফি উদ্দীনের সন্তান।

তিনি জানান, ২৫ আগস্ট চুলকানি জনিত (চর্ম) সমস্যা নিয়ে অমল চন্দ্রের কাছে গেলে স্টেরয়েড জাতীয় ইনজেকশন পুশ করে অসুস্থ থেকে আরো অসুস্থ করে দেয়। এরপর ধাপে ধাপে স্টেরয়েড জাতীয় সাতটি ইনজেকশন পুশ করা হয়। সর্বশেষ ইনজেকশন দেওয়ার ৩/৪ দিনের মধ্যে ইনজেকশনের জায়গায় প্রচন্ড ব্যথা শুরু হয়। অবস্থার বেগতিক দেখে গত ৪ সেপ্টেম্বর কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর ইনজেকশনের স্থানে পচন শুরু হওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে এবং এখনো হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন। অমল চন্দ্র সরকারের পুশ করা ইনজেকশনের কারনেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে বলে গণমাধ্যম কে জানিয়েছেন শহিদুল্লাহ। বর্তমানে তার অবস্থা খুবই খারাপ এবং অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সরেজমিনে জানাযায়, অমল চন্দ্র বহু বছর আগে থেকেই ডাক্তার পরিচয়ে চালিয়ে আসছেন রমরমা ফার্মেসী ব্যবসা। রোগী আসলেই ইনজেকশন পুশ করে দেওয়া হয়। স্থানীয়রা এয়ো বলেন, যেই ধরনের রোগীই আসুক আগে ইনজেকশন দেয়। কিসের ইনজেকশন দেওয়া হয় রোগীকে? একজন প্রাথমিক প্রশিক্ষণ নেওয়া ফার্মাসিস্ট পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া কি কোনো ধরনের ইনজেকশন দিতে পারে কি না, বা তার বৈধতা কতটুকু? এমন বহু প্রশ্ন স্থানীয়দের মাঝে।

ভূয়া ডাক্তার অমল চন্দ্র বলেন, ডাক্তার লেখাটা আমার অপরাধ হয়েছে। শহিদুল্লাহ আমার কাছ থেকে চিকিৎসা নেয়নি। পরে পেসক্রিপশনের কথা শিকার করলেও লেখা টি তার না বলে দাবি করেন। তিনি পল্লী চিকিৎসক হিসাবে যে টুকু যানেন মানুষকে অতটুকই চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে ইনজেকশন পুশ করেন বলে দাবি করেন। অমল বলেন আমি মানুষকে সেবা দেই। গ্রামে সবই করতে হয়, না করলে চলে না।

এ বিষয়টি জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম গোলাম মোর্শেদ খানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা ব্যবস্থা নিবো। এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সাথে কথা বলা হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিচালক ডাক্তার মামুনুর রহমান বলেন, ফার্মাসিস্ট কোর্স করে ডাক্তার লেখার নিয়ম নেই। তার বিরুদ্ধে এর আগেও অভিযোগ শুনেছি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্যারের সাথে আলোচনা করে খুব দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved সর্বস্বত্বঃ দেশ হাসান
Design & Developed By : JM IT SOLUTION