নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পুটিমারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বিদ্যালয় সভাপতিসহ আহত হয়েছে ৩ জন । ১৮ অক্টোবর (মঙ্গলবার) বিকালে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে নড়াগাতি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীরা।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পুটিমারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিল একই গ্রামের হেকমত সিকদার গংদের সাথে। ওই দিন বিকালে স্থানীয় লোকজন উভয় পক্ষের আমিনের সহায়তায় বিদ্যালয়ের জমি মাপঝোপ করে সীমানা নির্ধারন করে। কিন্তু হেকমত শিকদার গং উক্ত সীমানা নির্ধারন মেনে না নিয়ে গালিগালাজ করতে থাকে। এ সময় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মেহেদী শেখ তাদের থামানোর চেষ্টা করলে একই গ্রামের সোহাগ সিকদার, হেকমত সিকদার, ইকবাল বিশ্বাস সহ অন্তত ১০ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাকে তাড়া করে। এ সময় তিনি আত্মরক্ষায় বিদ্যালয় সংলগ্ন এসকেন শেখের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিলে এসকেন শেখ ও তার ভাই নয়ন শেখকে কে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে ঘরের ভিতর প্রবেশ করে। তখন এসকেন শেখের স্ত্রী খুকু মনি বাধা দিলে তাকে হুমকি দেয় এবং তার গলায় থাকা স্বর্নের চেন ছিনিয়ে নেয়। এসময় গুরুতর আহত হয় এসকেন শেখের ছোটভাই মুন্না শেখ। আহতরা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
পুটিমারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খুকু রানী রায় বলেন, বিদ্যালয়ের জমি হেকমত সিকদার লোকজন নিয়ে প্রায়ই দখলের চেষ্টা করে। সরকারিভাবে কয়েকবার বিদ্যালয়ের সীমানা প্রচীরের কাজ আসলেও তারা সীমানা প্রাচীর করতে বাঁধা দেয়। হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, স্কুল ছুটির পর জমি মাপঝোপ করতে গেলে হেকমত সিকদারের লোকজন আতর্কিত হামলা করে।
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শেখ মেহেদী হাসান বলেন, বিদ্যালয়ের সম্পত্তি জোর করে দখল করতে চায় হেকমত সিকদার ও তার লোকজন। মঙ্গলবার সীমানা নির্ধারন করতে আসলে আমার উপর হামলা চালায়।
প্রত্যক্ষদর্শী, মিজানুর রহমান, খুকুমনি ও লিমন শেখ জানান, দীর্ঘদিন তারা সরকারী স্কুলের জমি জোরপুর্বক দখলে রেখে উন্নয়ন কাজে বাঁধা সৃষ্টি করে আসছে। এরই ধরাবাহিকতায় সীমানা নির্ধারনের জন্য সরকারী আমীনসহ তারাও আমীন আনে। কিন্তু সে রায় তারা না মেনে স্কুল সংশ্লিষ্টদের ওপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করে গুরুতর আহত করে।
এ বিষয়ে প্রতিপক্ষের সোহাগ শিকদার জানান, ওই সরকারী স্কুলের জমি দাতা তারা। ওটা তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। মঙ্গলবার যে সীমানা দিয়েছে ওখান থেকে ৭ ফুট উত্তরে আমাদের সীমানা রয়েছে। তাদের নির্ধারিত সীমানা না মানায় আমার ৩ ভাই ও চাচাসহ ৫ জনকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছে তারা। আমরা এখন গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি আছি।
নড়াগাতি থানার আফিসার ইনচার্জ সুকান্ত সাহা বলেন, এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত কোরে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।