নড়াইলের লোহাগড়া পৌরসভার আদর্শপাড়া গ্রামের সৌদি প্রবাসী আলমগীর হোসেন স্ত্রী রোমানার পরকীয়ায় সর্বশান্ত হয়েছেন। প্রবাসে থাকায় সারা জীবনের অর্জন পরকীয়া প্রেমিক সদর থানার দত্তপাড়া গ্রামের এক সন্তানের জনক জহির শেখ ওরফে কালুর (৪০) যোগসাজশে আত্মসাৎ করে
পালিয়ে বিয়ে করেছে বলে জানা যায়। এ ঘটনা ভুক্তভোগী আলমগীর হোসেন ১৭ অক্টোবর রোমানা ও তার পরকীয়া প্রেমিকসহ রোমানার স্বজনদের নামে লোহাগড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। আলমগীর ওই গ্রামের আঃ ছত্তার মোল্যার ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায় ২০১১ সালে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক আলমগীর হোসেনের সাথে লোহাগড়া উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের চালিঘাট গ্রামের হান্নান মোল্যার মেয়ে রোমানার বিবাহ হয়। তাদের আনাস নামে ১১বছর বয়সী একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
আলমগীর প্রবাসে থাকায় সদর থানার দত্তপাড়া গ্রামের এক সন্তানের জনক জহির শেখ ওরফে কালুর সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত হয় রোমানা, সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে নিজ ঘরেই প্রেমিক কালুর সাথে চলে তার অনৈতিক কার্যকলাপ। কিছু দিন আগে স্থানীয়দের হাতে ধরাও খেয়েছে কালু ও রোমানা। যার একটি ভিডিও ফুটেজ রয়েছে।
অভিযোগে জানা যায়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর রোমানা খানম পরকীয়া প্রেমিক জহির ওরফে কালুর সহযোগীতায় আলমগীরের ১৭ বছরের উপার্জীত নগদ ১০ লাখ টাকা, স্বর্ণের গহনা, ঘরের আসবাবপত্র সহ মোট ২৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে আলমগীর ১২ অক্টোবর দেশে এসে দেখেন তার ঘরে তালা মারা। খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারেন প্রবাসে থাকাকালিন তার অজান্তে চলতি বছরের ১৫ মে রোমানা তাকে তালাক দিয়ে পরকীয়া প্রেমিক জহির শেখ ওরফে কালুকে বিয়ে করেছে।
এ বিষয়ে রোমানা ও কালুর সাথে যোগাযোগ করলে তাদের বিবসহ হয়েছে স্বীকার করে আলমগীরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হত্যার হুমকি দিলে, লোহাগড়া থানায় ১৯ অক্টোবর একটি সাধারণ ডায়েরি করেন ভুক্তভোগী আলমগীর।
অভিযুক্ত রোমানার সন্ধান না পেয়ে তার বাবার বাড়িতে গিয়ে রোমানার বাবা হান্নান মোল্লার কাছে জানতে চাইলে তিনি কিছু জানেন না বলে জানিয়ে দেন।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কালুর একজন প্রতিবেশি বলেন, কালু সচিবালয়ে চাকরি করে বলে তার অনেক ক্ষমতা আছে বলে দাবি করে, কালুর স্ত্রী এবং বিয়ে উপযুক্ত মেয়ে রয়েছে তারপরেও পরকিয়া করে স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া বিয়ে করেছে। কালুর প্রথম স্ত্রী একটা অসহায় মেয়ে তাই কালুর অনেক নির্যাতন সহ্য করে, মুখ খুলে কিছু বলতে পারে না।
এবিষয়ে লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ নাসির উদ্দীন বলেন অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।