মাদারীপুরের কালকিনিতে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির কথা না শোনায় ও তার মনপুতোভাবে না চলায় সৈয়দ আবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসায় বসত ভিত্তিহীন দুর্নীতির অভিযোগ এনে একটি মানববন্ধন করেছে কলেজের একাংশের শিক্ষকরা। এ মানববন্ধনের ঘটনা নিয়ে উপজেলা জুরে সমালোচনার ঝড় সৃষ্টি হয়েছে। আজ সোমবার সকালে কলেজ ক্যাম্পাসে এ মানববন্ধন করা হয়।
অধ্যক্ষ হাসানুল হক শিরাজীর অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, সৈয়দ আবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ হাসানুল হক শিরাজী যোগদানের পর থেকেই কলেজটি শুনামের সঙ্গে পরিচালনা করে আসছেন। এবং তিনি কলেজে সুশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে অগ্রনী ভুমিকা পালন করেন। তবে বিগত দিনে করোনার সময় শিক্ষার্থী কমে যাওয়ায় কলেজ কর্তৃপক্ষের কিছুটা হলেও বিপাকে পড়তে হয়। এদিকে কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান মীর গোলাম ফারুক অবৈধভাবে নিজ ক্ষমতা বলে কলেজের প্রশাসনিক কর্মকান্ডে হস্তক্ষেপ, প্রতিষ্ঠানিক একাডেমিক বিষয়দির ক্ষেত্রে সিধান্তের বিরোধিতা, প্রতিনিয়ত সভাপতির অবৈধ হস্তক্ষেপ অধ্যক্ষের প্রতি জোরপুর্বক চাপিয়ে দেয়া, প্রতিষ্ঠানিক রুটিন প্রনয়ন, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভর্তি ফি আদায়ে অধ্যক্ষকে চাঁপ প্রয়োগ, কলেজে ঘনঘন শিক্ষক নিয়োগ, বোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এমনকি অভ্যন্তরীন পরীক্ষাসমুহের কমিটি গঠনসহ অধ্যক্ষের এমপিওভুক্ত বিষয়গুলিতে অযাচিত হস্তক্ষেপসহ সকল বিষয় নিয়ে সভাপতি মীর গোলাম ফারুক তার নিজ পছন্দ অনুযায়ী সিধান্ত গ্রহন ও বাস্তবায়ন করার অপচেষ্টি চালান। উপরক্ত কথা না শোনায় এবং তার সুবিধামত না চলায় সভাপতি মীর গোলাম ফারুক ক্ষিপ্ত হয়ে অধ্যক্ষ হাসানুল হক শিরাজীর বিরুদ্ধে তার পক্ষের কলেজের একাংশের শিক্ষকদের দিয়ে বকেয়া বেতনের দাবি তুলে ও দুর্নীতির অভিযোগ চাপিয়ে দিয়ে এক মানববন্ধের আয়োজন করেন। এ মানববন্ধনে অংশগ্রহন করেন শিক্ষক কাজী কামরুজ্জামান, মুজিবুর রহমান, আজিজুল হক, আবুল হোসেন, আলমগীর হোসেন, রাহাত হোসেন ও গোলাম কিবরিয়া প্রমুখঃ
পৌরসভা যুবলীগের সভাপতি মাসুদ রানা জাপান মোল্লা বলেন, আমি চাই এই কলেজটি পরিছন্নভাবে পরিচালনা করা হোক।
অধ্যক্ষ হাসানুল হক শিরাজী বলেন, সভাপতির অবৈধ সুবিদা আদায়ে আমি কোন প্রকার প্রশ্রয় না দেয়ায় আমার সাথে তার মত পার্থক্য সৃষ্টি হয়েছে। তাই ইতি মধ্যে সে আমার অফিস রুমের সিসিটিভির সংযোগ বিছিন্ন করে দিয়েছে। আমি এ বিষয়গুলো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিংকি সাহা ও কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদেরকে জানিয়েছি। কলেজ থেকে আমি নিজেও কোন বেতন পাচ্ছি না। বেতন দেয়ার দায়িত্ব শুধু আমার একার বিষয় নয়, সভাপতিসহ ম্যানেজিং কমিটির সভার মিলে সিধান্ত নিয়ে বেতন বাস্তবায়ন করার। তবে সভাপতির কথা মত কাজ না করতে রাজি না হওয়ায় আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে মিথা অভিযোগে এ মানববন্ধন করিয়েছে। আমি চ্যালেঞ্চ করে বলতে পারি আমার কোন দুর্নীতি নেই। যদি কেউ প্রমান করতে পারে। তাহলে যা শাস্তি হবে আমি মাথা পেতে নেব।আমি মিথ্যা অভিযোগের তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিংকি সাহা বলেন, কলেজে ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা আছেন এটা তাদের ভিতরগত বিষয়। ওখানে নিজেরা নিজেরা নিজেদের দোষাদোষি করতেছে। তবে সিসিটিভির বিষয় আমি ডিসি স্যারকে অবহিত করেছি।