গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি টুঙ্গিপাড়া আওয়ামীলীগের দুঃসময়ের বিশ্বাস্ত সারথী, একনায়ক এরশাদ বিরোধী আন্দোলন ও খালেদা জিয়া বিরুদ্ধো আন্দোলনে লড়াকু যোদ্ধা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক বিষয়ক ব্যাক্তিগত সহকারী মাহমুদ হাসান বাবুল আর নেই।
তিনি আজ বুধবার ঢাকার নিজ বাসায় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে ঢাকায় তার নিজ বাসায় ইন্তেকাল করেছেন। ( ইন্নালিল্লাহি—রাজিউন )। তার মৃত্যুতে গোপালগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী দুই কন্যা ও এক পুত্রসন্তানসহ অসংখ্য গুনগ্রহী রেখে গেছেন।
তিনি দির্ঘদিন ধরে দুরারোগ্য মরণব্যধি ক্যান্সারে ভুগছিলেন। তিনি ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের রাজধানী মুম্বাইয়েরে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানে তার শরীরে ক্যামো থেরাপি দেওয়া হয়েছিল।
এদিকে মাহমুদ হাসান বাবুলের মৃত্যু সংবাদ তার জন্মভুমি টুঙ্গিপাড়ায় এসে পৌছালে মুহুর্তে টুঙ্গিপাড়ায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
পাটগাতী গ্রামের বাসিন্দা ছাত্রলীগ নেতা শাওন খলিফা বলেন, সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি মাহমুদ হাসান বাবুল এর ১ম জানাজার নামাজ আজ বুধবার বাদ আসর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাতে তার মরদেহ হিমঘরে রাখা হবে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালে তার মরদেহ টুঙ্গিপাড়ায় আসবে।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাদ জোহর টুঙ্গিপাড়ার শেখ মুজিবুর রহমান ডিগ্রী কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে বলে তার পারিবারিক একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে মাহামুদ হাসান বাবুলের দুঃসময়ের রাজনৈতিক সহচর টুঙ্গিপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ সোলায়মান বিশ্বাস বলেন, তিনি যখন টুঙ্গিপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন আমি তার সাধারন সম্পাদক ছিলাম। আজ আমরা একজন প্রকৃত বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একান্ত বিশ্বাসভাজন এক রাজনৈতিক সহচর কে হারালাম।তাকে হারিয়ে আমি শোকাহত। আমি তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি ও তার শোকাহত পরিবারের প্রতি গভির সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ছাত্রলীগ সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান বাবুলের মৃত্যুতে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি শেখ আবুল বশার খায়ের ও সাধারন সম্পাদক মোঃ বাবুল শেখের সাক্ষারিত শোকবার্তায় গভীর শোক জানিয়েছেন।
টুঙ্গিপাড়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ সাইফুল ইসলাম বলেন, বাবুল ভাই যখন সভাপতি ছিলেন আমি ওই কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলাম। আশির দশকে এরশাদ বিরোধী বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে বাবুল কাবুল, সোলায়মান বিশ্বাস, আমি এবং কচি একসঙ্গে রাজপথে থেকেছি, বাবুল ভাইয়ের সঙ্গে একসাথে আমি একাধারে ৯ মাস কারা ভোগ করি। এ সময়ের অনেক স্মৃতি আজ মনে পড়ে যায়। তার মতো একজন লড়াকু রাজনীতিবিদ কে হারিয়ে আমি শোকাহত এবং মর্মাহত। আমি তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করি এবং তার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ রেজাউল হক বিশ্বাস বলেন, রাজনীতিতে বাবুল ভাই আমাদের অগ্রজ, তার মতো বঙ্গবন্ধুর সৈনিক এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বস্ত আস্থাভাজন হওয়া এটি একটি বড় রাজনৈতিক অর্জন। তিনি টুঙ্গিপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের গর্ব। আমি টুঙ্গিপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।