বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে টানা ৩দিনের শৈত্যপ্রবাহে জেঁকে বসা শীত নিবারনে আগুন জ্বালাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে বারইখালী ইউনিয়নের ভাষন্ডা গ্রামের সোহরাব সওদাগরের ছেলে মো. নাসির সওদাগর (৩২) নামের এক দিনমজুর গুরুত্বর আহত হলে মোড়েলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাকে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ বার্ণ ইউনিটে প্রেরণ করা হয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সরকারের কর্মসৃজন কর্মসূচি শ্রমিক হিসেবে নিয়োজিত হতদরিদ্র নাসির সওদাগর ৪ঠা জানুয়ারী বুধবার সকালে বারইখালী ইউনিয়নের তাফালবাড়ি গ্রামে রাস্তায় মাটির কাজ করছিলেন। কাজের মাঝে অতিরিক্ত শৈত্যপ্রবাহে শীত নিবারনের জন্য আগুন জ্বালালে অসতর্কতাবসতঃ তার পরিহিত কাপড়ে আগুন ধরে যায়। এ সময় তার ডাক চিৎকারে সাথে থাকা অন্য শ্রমিকরা আগুন নিভানোর জন্য চেষ্টা করে আগুন নিভিয়ে তাকে গুরুত্বর অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে অবস্হার অবনতি হলে প্রথমে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটের উদ্যেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প: প: কর্মকর্তা কর্তাব্যরত চিকিৎসক ডা. কামাল হোসেন মুফতি বলেন, অগ্নিদগ্ধ শ্রমিক নাসিরের শরীরের বিভিন্নস্থানে পুড়ে গিয়ে শরীরের ৩০% ক্ষতিগ্রস্হ হয়েছে। তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ সর্ম্পকে বারইখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আউয়াল খান মহারাজ জানান, দগ্ধ শ্রমিক নাসির সওদাগর সরকারী কর্মসৃজন প্রকল্পের ৪০ দিনের মাটির কাজ করছিলো। শীত নিবারনের জন্য জ্বালানো আগুনে অসর্কতা অবস্হায় এ সময় সে অগ্নিদগ্ধ হয়। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তাৎক্ষনিক উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করা হয়েছে। আগুনে পুড়ে যাওয়া দিনমজুর শ্রমিক নাসিরের পরিবারে পিতা-মাতা স্ত্রী ও একটি শিশু কণ্যা রয়েছে।