কচুয়ায় উপজেলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা ও মানব কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক গোলাম শোকরানা রব্বানী আজাদ বালীর বাড়ী ও তার ছোট ভাই আলম বালীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল ৯ জানুয়ারি দিবাগত রাত ২ টার দিকে কচুয়া উপজেলার হাজরাখালী গ্রামে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাতরা আনুমানিক নগদ ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা,৩৪ ভরি স্বর্ণালংকার,৬ টি মোবাইল,২টি বিদেশী টস লাইট সহ অফিস ও বাইক এর চাবি লুট করে নিয়ে যায়।পারিবারিক সূত্রে জানা যায়,আনুমানিক রাত ২টা ০৫মিনিটে ছোট ভাই সুলতান আলম বালীর বাড়ির বিল্ডিং এর পিছনের গ্রিল কেটে ৮ থেকে ১০ জন ডাকাত প্রথমে ছোট ভাই আলম বালীর ঘরে প্রবেশ করে দেশীয় অস্ত্র ও রিভলভল ঠেঁকিয়ে আলম বালী ও তার স্ত্রী সন্তানদের হাত-মুখ বেঁধে ঘরের মধ্যের সবাইকে জিম্মি করে নগদ ১১ লক্ষ ৫০হাজার টাকা ও ১২ভরি স্বর্ণালংকার সহ সব জিনিস পত্র হাতিয়ে নেয়,পরে আওয়ামীলীগ নেতা গোলাম শোকরানা রব্বানী আজাদ বালীর বিল্ডিং এর পিছনে গিয়ে তার ছোট ভাই আলম বালী ও তার মা নাজমেয়ারা বেগম (৮০) কে ডাকাতরা রিভলবার ঠেকিয়ে অসুস্থার ভান ধরতে বলে ও আজাদ বালীর বিল্ডিং দরজা খুলতে বলে, আজাদ হোসেন বালী মায়ের অসুস্থতার কথা শুনে বিল্ডিং রুমের দরজা খুলে দিলে ওৎ পেতে ডাকাতরা হুরহুর করে দ্রæত আজাদ বালীর বিল্ডিং ভিতরে ঢুকে অস্ত্র ঠেকিয়ে সবাইকে জিম্মি করে আজাদ বালীর ঘর থেকে নগদ ৩ লক্ষ টাকা ও ২২ভরি স্বর্ণালংকার সহ দুই ভাইয়ের মোট নগদ ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা,৩৪ ভরি স্বর্ণালংকার,৬ টি মোবাইল,২টি বিদেশী টস লাইট সহ অফিস ও বাইক এর চাবি লুট করে নিয়ে যায়।
ঘটনা ঘটার পর ডাকাতরা চলে গেলে রাত ৪ টার দিকে আওয়ামীলীগ নেতা আজাদ বালীর ছেলে দোতালায় ঘুমন্ত মোঃ শাওন বালীকে ডাকলে সে এসে ৯৯৯ নাম্বারে কল দিলে তারা কচুয়অ থানা পুলিশকে জানায়।পরে কিছুক্ষনের মধ্যে ঘটনা স্থলে কচুয়া থানা অফিসার্স ইন চার্জ মো: মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ এসে তদন্ত শুরু করে। তবে আওয়ামীলীগ নেতা গোলাম শোকরানা রব্বানী আজাদ হোসেন বালী জানান থানায় এখনো কোন অভিযোগ করা হয়নি পুলিশ ইতিমধ্যে ঘটনা স্থলে রয়েছে। পুলিশ সুপার বাগেরহাট কেএম আরিফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: মাহামুদ হাসান ঘটনা স্থান পরিদর্শন করেছেন।