সরকারি নিয়মনীতি না মেনে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের লক্ষাধিক টাকার গাছ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষিকা ও ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে। উপজেলার গোবিন্দুপুর ইউনিয়নের ১৩৩নং চক মাঝিগাতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে লালন মিয়া নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওই বিদ্যালয়ের আঙিনার একটি রেইন্ট্রি, দুইটি চাম্বল গাছ, পরিবেশ, বন বিভাগ ও প্রশাসনের অনুমতি না নিয়েই প্রধান শিক্ষিকা দিলরুবা নাছরিন এবং ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নার্গিস বেগমসহ কমিটির অন্যান্য সদস্য এবং স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি মিলে গোপনে বিক্রি করে দিয়েছেন। গত শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে গাছের ব্যাপারী (ক্রেতা) গাছগুলো কাটার উদ্দেশ্যে ডালপালা কেটে ফেলে।
পরে বিষয়টি স্থানীয়রা দেখে গাছ কাটা বন্ধ করে দেন। এছাড়া ওই বিদ্যালয়ের একটি পুরাতন ল্যাট্রিনের ইটও তুলে কোন ধরণের নিলাম ছাড়াই বিক্রি করে দিয়েছেন প্রধান শিক্ষিকা ও ম্যানেজিং কমিটির লোকজন বলে অভিযোগ রয়েছে। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নার্গিস বেগমের মুঠোফোনে কল দিলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় জানতে পেরে সংযোগ বিছিন্ন করে দেন। প্রধান শিক্ষিকা দিলরুবা নাসরিন গাছের ডাল কাটার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘গাছের ডালগুলো ভবনের ছাদের ওপর যাওয়ায় ছাদ ফাঁটল দেখা দেয়। তাই ৭ হাজার টাকায় ডালগুলো বিক্রি করে দিয়েছি ।
মুকসুদপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি স্থানীয়দের মাধ্যমে গাছ কাটার বিষয়টি জেনে আমরা তদন্ত করেছি।’ এখন জেলা প্রশাসকের নিকট তদন্ত রিপোর্ট পাঠানো হবে ।
মুকসুদপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত কুমার সাহা জানান, গাছকাটার খবর পেয়ে আমরা গাছ গুলি জব্দ করেছি ।
মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমাম রাজী টুলু বলেন,বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে বিষয়টি জেনে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।