স্বরূপকাঠি উপজেলার সুটিয়াকাঠি ইউপির ৬নং ওয়ার্ডে মিয়ারহাট বাজারের আড়াই শতক সম্পত্তি জাল দলিলের মাধ্যমে রেকর্ড নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।সোহাগদল ইউনিয়নের ভাইজোরা গ্রামের মৃত আসমত আলী মিয়ার ছেলে মোঃ ছালাম মিয়া এবং মেয়ে মুকুল বেগম এ অভিযোগ করেন।মুকুল জানান ১৯৮৯ সনে আমার বয়স ছিলো মাত্র ১৪ বছর। আমি ওই সময় স্কুলে পড়াশুনা করি।আমার স্কুল সার্টিফিকেটে আমার বয়স উল্লেখ আছে।আমি কখনই কোনো সম্পত্তি বিক্রি করিনি।কিন্ত আমার বাবার থেকে প্রাপ্ত সম্পত্তি নিতে গিয়ে জানতে পারি সোহাগদল ইউপির আব্দুল গনি মিয়ার ছেলে আব্দুল লতিফ মিয়া ভুয়া দলিল করে আমার বাবার সম্পত্তিতে ঘর তুলে ব্যবসা করছেন।মুকুল জানান২৭/১২/১৯৮৯ সনে ৩৬৩৪ নং দলিলে আমাকে দাতা বানিয়ে যে স্বাক্ষর দেয়া হয়েছে ওই স্বাক্ষরও আমার নয়।
এদিকে মুকুলের ভাই মোঃ ছালাম বলেন জোসনা নামে আমার কোনো বোন না থাকলেও আঃ লতিফ জোসনা নামে একজনকে আমার বোন সাজিয়ে ৪/৩/১৯৯০ তারিখে ৯৩৬ নং এ একটি তঞ্জকি দলিল করে।যেখানে কৌরিখাড়া মৌজায় এসএ ৬৭৪ ও ৬৬৮ নং খতিয়ান থেকে আড়াই শতক সম্পত্তি প্রতারনা দলিলের মাধ্যমে দখল নেয়। ছালাম অভিযোগ করে বলেন একইভাবে প্রতারনার আশ্রয়ে লতিফ স্বরূপকাঠি সাবরেজিস্ট্রার অফিসের মাধ্যমে ১৯৮৯ সনে ৩৬৩৮,৩৬৩৫,৩৬৩৪ ও ৩৬৩৭নং এ দলিল করেন।কিন্ত এই দলিলে উল্লেখিত দাতা ফিরোজা,আব্দুল আলিম, জাকিয়া, মনোয়ারা, সেলিম,সেফালি কেহই সাব রেজিস্ট্রার অফিসে জাননি এবং প্রকৃতপক্ষে জমি বিক্রি করেননি । এ সকল বিষয় অবগত করে পিরোজপুর বিজ্ঞ আদালতে আমি মামলা দিলে আদালত ওই সম্পত্তির উপর ১৪৪/১৪৫ ধারা জারি করেন।নেছারাবাদ থানা পুলিশ এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহন করলেও আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আব্দুল লতিফের ওয়ারিশরা ওখানে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ ছালামের।
মিথ্যা দলিল ও অবৈধ ভোগ দখল এবং ১৪৪ধারা ভঙ্গ করে কাজ চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে কথা হয় আব্দুল লতিফের ছেলে গোলাম রসুল রিয়াজের সাথে।তিনি বলেন আমার বাবা ৩৪ বছর আগে সম্পত্তি ক্রয় করে।আমরা সেই থেকে ভোগ দখল করে ব্যবসা করে আসছি।১৯৯৭ সনে হাইকোর্ট আমাদের পক্ষে রায় দেয়।ওনারা দলিল না দিলে এতদিন অবৈধভাবে ভোগ দখল করা যায়না।