নড়াইলের কালিয়া উপজলোর পেড়লী ইউনয়িনে ভিজিএফ এর চাউল বিতরণের পর ফিরিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠছে ইউনিয়নের ৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষতি আসনের মহলিা সদস্য মুসলিমা খাতুনের বিরুদ্ধে। চেয়ারম্যানের দোহাই দিয়ে এবং পরর্বতীতে কোন চাউল পাবেনা, এমন ভয় দেখিয়ে ১২ মার্চ বিতরণের প্রথম দিনে ভাতাভোগীদের বাড়ীতে এসে ওই চাউল নিয়ে যান। এছাড়া ওই ভাতার র্কাড পেতে মহিলা মেম্বারকে অনেক অনুরোধের পরেও গুনতে হয়েছে ৫ হাজার টাকা বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে সরেজমিনে পরিষদে গেলে সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে মুসলিমা খাতুন দ্রুত এলাকায় ফিরে যান এবং তার মাদকাসক্ত ছেলেকে ভুক্তভোগীদের বাড়ীতে পাঠান সাংবাদিকদের সামনে মুখ না খোলার জন্য। কিন্তু ততক্ষনে কয়কেজন ভুক্তভোগী সত্যটা বলে ফেলায় সাংবাদিকদের সাথে অশোভন আচারন করে তার ছেলে।
পরিষদ সূত্রে জানা যায়, ১২ র্মাচ থেকে ওই ইউনিয়নের ভিজিএফ র্কাড ধারীদের বিগত জানুয়ারী ও ফেব্রুয়ারী ২ মাসের ৬০ কেজি চাউল দেওয়া হয়। প্রথম দিনে ৫৩জন র্কাডধারীকে ৩০ কেজি করে ২ বস্তা চাউল বিতরণ করা হয়। তন্মধ্যে অভিযুক্ত মহলিা সদস্য মুসলিমার কৃপায় ভাতাভোগী ছিল ১১জন।
ভুক্তভোগী পেড়োলী গ্রামের মনরিুল মুসল্লীর স্ত্রী নারগিছ বেগম জানান, মহিলা মেম্বারকে ৫ হাজার টাকা দিয়ে ভাতার র্কাডটি পেয়েছেন তিনি। গত ১২ তারিখে ২ বস্তা চাউল পেয়ে বাড়ী আসলে ওই দিনই চেয়ারম্যান ১ বস্তা চাউল ফেরত দিতে বলেছে বলে মুসলিমা মেম্বার ১ বস্তা চাউল নিয়ে গেছে এবং উপর মহল থেকে এ চাউল অন্যদের দিতে বলেছে। কারন, প্রয়োজনের সময় তাদের লাগবে। আর এখন না দিলে রোজার সময় কোন চাউল পাবানা। ওই চাউল তাদের দেওয়া হবে। এভাবে মোশা শেখের স্ত্রী পারুল বেগম, আসলাম শেখের স্ত্রী হাসনা আরা, এরশাদের স্ত্রী মনিরা, নাজমুলের স্ত্রী জাহেদাসহ ১১ জনের কাছ থেকে চাউল নিয়েছে বলে জানান তিনি।
নারগিছ বেগমের ছেলে শিশু রোমান জানায়, মুসলীমা মেম্বর দুপুরের দিকে ১ বস্তা চাউল নিয়ে গেছে। পারুল বেগমের বাড়ীতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি।
আরেক ভুক্তভোগী একই গ্রামের সুজন মোল্যার স্ত্রী হাচিবা বেগম ও ৫ হাজার টাকায় পেয়েছেন কার্ড জানিয়ে বলেন, ১২ তারিখে পরিষদ থেকে ২ বস্তা চাউল এনে আমি ঘরে রাখি। আমার অনুপস্থিতিতে মেম্বার মুসলীমা বেগম ১ বস্তা নিয়ে গেছে। আমার ছেলে নিষেধ করলে ও শোনে নাই। আমার ছেলেকে বলেছে তোর মার সাথে আমি বুঝবো, এত সময় ভ্যান দাঁড়িয়ে রাখতে পারবোনা বলে চাউল নিয়ে চলে যায়।
পেড়োলী ইউনিয়নের ভোটার হয়ে ও অভয়নগর এলাকায় বাস করে এরশাদের স্ত্রী মনিরা বেগম। তাকে বাড়ীতে পাওয়া য়ায়নি, তবে তার শাশুড়ী বলেন গতকাল ২ বস্তা চাউল পেয়েছিল মেম্বর ১ বস্তা নিয়ে গেছে এবং প্রতিবেশী নাজমুল ফকিরের স্ত্রী জাহেদা জানান, মুসলিমা অন্যদের দেওয়ার জন্য চাউল চেয়েছিল তিনি দেননি।
অভিযুক্ত মুসলিমা খাতুন চাউল নেওয়ার বিষয়টি প্রথমে স্বীকার গেলেও পরর্বতীতে টাকা ও চাউল নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। এছাড়া তার শত্রু পক্ষের লোক এগুলো করাচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করে সব মিথ্যা বলে জানান।
এ বিষয়ে পেড়োলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জারজিদ মোল্যা ভিডিও বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন পরিষদ থেকে ২মাসের বরাদ্দের ২ বস্তা চাউল ভাতাভোগীদের সনাক্ত করে দেওয়া হয়েছে। পরর্বতীতে ওই চাউল কি হলো এটা তাঁর জানার প্রয়োজন নেই বলে এড়িয়ে যান এবং পরিষদের সচিব আফজাল শেখ ও একই সুরে কথা বলনে।