গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের অনেক কিছুই আজ বিলুপ্তির পথে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ঘোড়ার দৌড় বা ঘোড়দৌড়। কালের বিবর্তনে আজ হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রামবাংলার জনসাধারণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহনের এ খেলাটি।
হাজার হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে লোকজ ঐতিহ্যের এ ধারা ফিরিয়ে আনতে ১৮ মার্চ (শনিবার) বিকাল ৩ টায় উপজেলার কলাবাড়ীয়া দশানীপাড়া যুব সংঘের আয়োজনে মল্লিক বাড়ী সংলগ্ন মাঠে এ প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন জেলা থেকে অংশ নেওয়া মাঠের ভেতর ছড়িয়ে-ছিটিয়ে লাল, কালো, সাদাসহ ছোট-বড় অনেক ঘোড়া। নাম গুলোও বেশ বাহারি- মহারাজা, বাহাদুর, রাজা, বাদশা, বিজলী, সুইটি, কিরণবালা, মণিবালা ইত্যাদি। এমন বিচিত্র নামের ১৮টি ঘোড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। ক্ষিপ্রতা ও দ্রুতগতি বলে দেয় এদের তেজ। উৎসুক দর্শনার্থীরা ঘোড়ার দৌড় ও ক্ষিপ্রতা পরখ করেন।
প্রতিযোগীতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে অভয়নগর উপজেলার ১৮ নম্বর ক্রমিকের জিন্দার ফকিরের ঘোড়া, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে একই উপজেলার ২১ নম্বর ক্রমিকের আশিক মল্লিকের ঘোড়া, তৃতীয় স্থানও অধিকার করেছে একই উপজেলার ২০ নম্বর ক্রমিকের শাহাজাহানের ঘোড়া,
চতুর্থ স্থান অধিকার করেছে কলাবাড়ীয়ার ১১ নম্বর ক্রমিকের জালাল মোল্যার ঘোড়া ও পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে কালিয়ার ১৬ নম্বর ক্রমিকের ঘোড়ার মালিক শামীম মোল্যা।
বিজয়ীদের মধ্যে ৩ জনকে যথাক্রমে ৮ হাজার, ৬ হাজার ও ৪ হাজার টাকা এবং বাকীদের আকর্ষণীয় পুরস্কার দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠিত ঘোড়দৌড় প্রতিযোগীতায় প্রধান অতিথি ছিলেন কলাবাড়ীয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ্যাডঃ মাহামুদুল হাসান কায়েস ও বিশেষ অতিথি ছিলেন মুরসালিন হোসেন জিবরিল।