বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার পথচারী লোকজন ও শিশুদের মধ্যে কুকুর আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। গত একমাসে প্রায় শতাধিক ছাগল ও হাঁস-মুরগিকুকুরের কামড়ে আহত হয়েছে।এরমধে আবারঅনেকমারা গেছে। হি¯্র কুকুরের হাত থেকে প্ররিত্রাণ পেতে ভুক্তভোগীরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ।
ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে এলাকায় অসংখ্য বেওয়ারিশ কুকুর রয়েছে। সেসব কুকুরগুলি দলবদ্ধ ভাবে বিভিন্ন লোকের গরু, ছাগল ও হাঁস,মুরগির উপর আক্রমণ করছে। বন্য প্রাণীর মতো সবখানে চষে বেড়াচ্ছে এরা। এলাকার লোকজনও রেহাই পাচ্ছে না এদের কবল থেকে। হঠাৎ করে কুকুরের এমন হিং¯্র অচরণে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন অনেকে।
উপজেলার কালিগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা ফিরোজা বেগম জানান, তার ৩টি ছাগলের উপরে দলবদ্ধ হয়ে কয়েকটি কুকুরের আক্রমণ চালিয়েছে। লোকজন এসে ধাওয়া দিলে কুকুরগুলি পালিয়ে যায়। ওই ৩টি ছাগলকে গুরুতর জখম অবস্থায় উপজেলা প্রাণি সম্পদ চিকিৎসাকেন্দ্রে এনে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ছাগলগুলির অবস্থা আশঙ্কা জনক। এছাড়া শিবপুর গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ১ টি ছাগল ও আদিখালী গ্রামের তানিয়া আক্তারের ৩ টি ছাগল , আড়ুয়াবর্ণি গ্রামের ছকিরণ বেগমের ১ টি ছাগলসহ অসংখ্য কুকুরের কামড়ে আহত ছাগল, গরুকে উপজেলা প্রাণি সম্পদ চিকিৎসাকেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা আহমেদইকবাল জানান, কুকুরের সংখ্য বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে গরু, ছাগল ও হাঁস,মুরগির উপর আক্রমণ করছে। প্রতিদিন গড়ে ৪/৫টিকুকুরের কামড়ে আহত গরু-ছাগলহাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আবার অনেকেহাসপাতালে আসছেনা।