চিতলমারীতে স্ত্রীর মর্যাদা দাবিতে কলেজ ছাত্র সৈকত মন্ডলের বাড়িতে অনশন করেছেন এক স্কুল শিক্ষার্থী সোমবার সকাল থেকে উপজেলা চরডাকাতিয়া গ্রামে সৈকত মন্ডলের বাড়িতে ওই নারী অনশনে বসেন। অবশেষে একদিন একরাত পর অনশনে বসা সেই স্কুল ছাত্রীকে ঘরে তুলে নিয়ে স্ত্রীর মর্যাদা দেয়ার কথা জানিয়েছেন সৈকতের পরিবার। সৈকত চরবানিয়ারী ইউনিয়নের ডাকাতিয়া গ্রামের স্কুল শিক্ষক প্রকাশ চন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে।সৈকত গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার সরকারি শেখ মুজিবুর রহমান কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের ২য় বর্ষের ছাত্র।
ওই ছাত্রী নবধারা কে বলেন,ফেসবুকে সম্পর্ক করে গোপালগঞ্জে একটি মন্দিরে বসে প্রায় ৪ মাস আগে তাদের দুজনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তারা স্বামী স্ত্রী হিসেবে চট্রগ্রাম একটি ভাড়া বাড়িতে তারা স্বামী স্ত্রী হিসেবে বসবাস করেন। কয়েক দিন আগে স্বামী সৈকত তাকে এলাকায় নিয়ে আসে। কিন্তু বাড়িতে না তুলে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। শেষ পর্যন্ত সে স্ত্রীর মর্যাদা পেতে তার শশুর বাড়িতে অনশনে বসেন।
ওই স্কুল শিক্ষার্থী স্ত্রীর দাবিতে সোমবার তার শশুরলয়ে অনশনে বসলে শুরবাড়ির সবাই ঘরে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যায়। শেষপর্যন্ত বুধবার তাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে ঘরে তুলে নেয়ার কথা তার পরিবার থেকে জানিয়েছেন।