1. nabadhara@gmail.com : Nabadhara : Nabadhara ADMIN
  2. bayzidnews@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  3. bayzid.bd255@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  4. mehadi.news@gmail.com : MEHADI HASAN : MEHADI HASAN
  5. jmitsolution24@gmail.com : support :
  6. mejbasupto@gmail.com : Mejba Rahman : Mejba Rahman
শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২৪ অপরাহ্ন

কোটালীপাড়ায় ইউএনও’র চিঠি জাল করার অপরাধে ছাত্রলীগ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিতঃ শুক্রবার, ৫ মে, ২০২৩
  • ২৫০ জন নিউজটি পড়েছেন।
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি চৌধুরী সেলিম আহমেদ ছোটনের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফেরদৌস ওয়াহিদের চিঠি জাল করার অভিযোগ ওঠায় কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে জেলা ছাত্রলীগ।
গত বৃহস্পতিবার রাতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিউটন মোল্লা ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আমির হামজার যৌথ স্বাক্ষরিত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানাগেছে। কারণ দর্শানোর এ নোটিশে দলীয় আদর্শ ও গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগ এনে চৌধুরী সেলিম আহমেদ ছোটনকে ৩ কার্যদিবসের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। তা নাহলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে কারণ দর্শানোর নোটিশে উল্লেখ করেছেন জেলা ছাত্রলীগের এই দুই শীর্ষ নেতা।
জানাগেছে, কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌস ওয়াহিদ রাজৈর-কোটালীপাড়া সড়কের উন্নয়ন ও সংস্কার কাজ করার লক্ষে সড়কের দুই পাশের গাছ টেন্ডারের মাধ্যমে কর্তনের জন্য গত ১০ এপ্রিল সামাজিক বন বিভাগের ফরিদপুর বিভাগীয় বন কর্মকর্তাকে  একটি চিঠি দেয়। ওই চিঠিটি কোটালীপাড়া পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি চৌধুরী সেলিম আহমেদ ছোটন সুকৌশলে সংগ্রহ করে সামাজিক বন বিভাগের ফরিদপুর বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নামের স্থলে জেলা প্রশাসক গোপালগঞ্জ বসিয়ে একটি জাল চিঠি তৈরী করে। চিঠিটি গোপালগঞ্জ স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালকের হাতে পৌছানোর পরে তিনি ওই চিঠি সম্পর্কে কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌস ওয়াহিদের কাছে মৌখিক ভাবে জানতে চায়।
কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌস ওয়াহিদ ওই চিঠিটি জেলা প্রশাসক গোপালগঞ্জ এর কাছে পাঠায়নি বলে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালকে জানায়। পরবর্তীতে গোপালগঞ্জ স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালকের নির্দেশে কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌস ওয়াহিদ তদন্ত শুরু করলে কোটালীপাড়া পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি চৌধুরী সেলিম আহমেদ ছোটনের চিঠি জাল করার বিষয়টি বেরিয়ে আসে।
এ ঘটনার পর কোটালীপাড়া পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি চৌধুরী সেলিম আহমেদ ছোটন জাল চিঠির দায় স্বীকার করে কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌস ওয়াহিদের কাছে লিখিত একটি মুচলেকা দিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
এ বিষয়ে কোটালীপাড়া পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি চৌধুরী সেলিম আহমেদ ছোটনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি চিঠি জাল করার কথা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি আমার ভুল হয়েছে। তাই আমি দোষ স্বীকার করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে ক্ষমা চেয়ে মুচলেকা দিয়েছি।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে কোটালীপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের এক সিনিয়র নেতা বলেন, চৌধুরী সেলিম আহমেদ ছোটন তার পদ পদবী ব্যবহার করে সরকারি বিভিন্ন দপ্তর থেকে নানা সময়ে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এর আগেও তিনি অনৈতিক কাজ করতে গিয়ে গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডে মুচলেকা দিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন। তার শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। তা না হালে তার মাধ্যমে ছাত্রলীগের সুনাম নষ্ট হবে।
গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আমির হামজা বলেন, দলীয় আদর্শ ও গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে চৌধুরী সেলিম আহমেদ ছোটনকে কারণ দশার্নোর নোটিশ দিয়েছি। নোটিশে তাকে ৩ কার্যদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে জবাব দিতে বলা হয়েছে। তার জবাব পাওয়ার পর পরবর্তী সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
 উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, রাজৈর-কোটালীপাড়া সড়কের উন্নয়ন ও সংস্কার কাজ করার লক্ষে সড়কের দুই পাশের কোটালীপাড়া অংশের গাছ টেন্ডারের মাধ্যমে কর্তনের জন্য ফরিদপুর সামাজিক বন বিভাগ থেকে ২০১৭ সালে ৭১লক্ষ  ২৪ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। বর্তমানে ওই গাছগুলো টেন্ডার দিতে হলে মূল্য বাড়ানো প্রয়োজন বলে আমার দপ্তর থেকে ফরিদপুর সামাজিক বন বিভাগের কর্মকর্তার কাছে একটি চিঠি দেওয়া হয়। কোটালীপাড়া পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি চৌধুরী সেলিম আহমেদ ছোটন ওই চিঠিটি জাল করে গাছের টেন্ডারটি নিজে ভাগিয়ে নেওয়ার জন্য গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে একটি জাল চিঠি দেয়। চিঠিটি জাল প্রমাণিত হওয়ার পরে চৌধুরী সেলিম আহমেদ ছোটন লিখিত মুচলেকা দিয়ে ক্ষমা প্রার্থণা করেছেন। তার এই মুচলেকার কপিসহ আমি জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে লিখিত প্রতিবেদন দিয়েছি। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মহোদয় পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
তবে কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তর থেকে ফরিদপুর সামাজিক বন বিভাগের কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রেরিত চিঠিটি কিভাবে চৌধুরী সেলিম আহমেদ ছোটন সংগ্রহ করেছেন সে বিষয়ে বলতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন ইউএনও ফেরদৌস ওয়াহিদ।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved সর্বস্বত্বঃ দেশ হাসান
Design & Developed By : JM IT SOLUTION