নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউপির কুমড়ি গ্রামে গ্রাম পুলিশ বকুল শেখ (৪০) কে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রবিবার (২৮ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ির পাশে এ ঘটনা ঘটে। নিহত বকুল শেখ কুমড়ি গ্রামের পূর্ব পাড়ার মৃত্যু বদির শেখের ছেলে ও দিঘলিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ হিসাবে কর্মরত ছিলেন।
আহত বকুল শেখ কে লোহাগড়া হাসপাতালে আনলে কর্মরত ডাক্তার সুব্রত সাহা বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই বকুল শেখের মৃত্যু হয়েছে। বকুল শেখের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বকুল শেখ রবিবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে কুমড়ি পূর্ব পাড়া রাজ্জাকের চায়ের দোকান থেকে বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পথিমধ্যে গোলাপ শেখের বাড়ির কাছে পৌঁছালে বকুলকে ওৎ পেতে থাকা দূর্বৃত্তরা দেশীয় ধারালো অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন আশঙ্কা জনক অবস্থায় বকুল শেখকে উদ্ধার করে লোহাগড়া হাসপাতালে আনলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মুত্যু ঘোষনা করেন।
এদিকে রাতেই নড়াইল জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী, জেলা পুলিশ মোসাঃ সুপার সাদিরা খাতুন, লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আজগর আলী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) মো. দোলন মিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
লোহাগড়া থানার ওসি নাসির উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নবধারা কে বলেন,গ্রাম পুলিশ বকুল শেখের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।
নড়াইল জেলা পুলিশ সুপার সাদিরা খাতুন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। হত্যার সাথে জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে। দ্রুত হত্যার রহস্য উদঘাটন করে হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
নড়াইল জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে নবধারা কে বলেন, গ্রাম পুলিশ বকুল শেখ আমাদেরই একজন সদস্য। এই ন্যক্কারজনক হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের ধরতে প্রশাসন সচেষ্ট আছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে নিহতের পরিবারকে তাৎক্ষণিক ২৫ হাজার টাকা দাফন বাবদ দেওয়া হয়। আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতের পরিবারটিকে সার্বিক সহযোগিতা করবো।