সাদা-কালো রঙের শান্ত প্রকৃতির ষাঁড়টির নাম রাখা হয়েছে ‘নড়াইলের টাইগার’। ওজন আনুমানিক ৫৫ মণ। বিশালাকৃতির ষাঁড়টির দাম হাঁকা হচ্ছে ২০ লাখ টাকা। ষাঁড়টি যিনি কিনবেন তিনি উপহার হিসেবে পাবেন একটি পালসার মোটরসাইকেল।
বুধবার (১৪জুন) সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউপির দক্ষিণপাড়া গ্রামের রবিউল মোল্যার ছেলে ষাঁড়টির মালিক সেলিম মোল্যা (২৪)। তিনি কোরবানীতে বিক্রির উদ্দেশ্যে ষাঁড়টি প্রস্তুত করেছেন। সেলিম মোল্যা বলেন ‘নড়াইলের টাইগার’ হলস্টেইন ফ্রিজিয়ান জাতের। এর বয়স চার বছর। দৈর্ঘ্য প্রায় সাড়ে ১২ ফুট, উচ্চতা ৬ ফুট আর ওজন প্রায় ৫৫ মণ। তিনি বলেন,‘মোটাতাজাকরণের কোনো প্রকার ওষুধ প্রয়োগ ছাড়াই দেশীয় প্রাকৃতিক খাবার বিচালি, ঘাস, খৈল, ভুসি, খুদের ভাত, কুড়া ইত্যাদি খাবার খাইয়ে বড় করা হয়েছে ষাঁড়টিকে। অতি আদর-যতেœ লালন পালন করেছি। তার প্রতি অনেক মায়াও তৈরি হয়েছে। প্রতিদিন প্রায় হাজার টাকা খাবারের পেছনে খরচ হয়। বাড়িতে রেখেই তাকে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাহিদ বলে,‘নড়াইলের টাইগার’ দেখতে বিশাল আকারের হাতির মতো। আমার খুব ভালো লেগেছে দেখে।
লোহাগড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. লেলিন বলেন,প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে খামারিদের বিভিন্ন পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হচ্ছে। কোরবানির চাহিদার তুলনায় উপজেলায় বেশি পশু রয়েছে। আশা করছি এবার ঈদুল আজহায় খামারিরা গরুর ভালো দাম পাবেন। নড়াইল প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এবার কোরবানিযোগ্য গবাদিপশু মজুত আছে ৫৪ হাজার ৪৯০টি। কোরবানির জন্য পশুর চাহিদা রয়েছে ৩২ হাজার ১৪৫টি। অর্থাৎ ২২ হাজার ৭৭৫টি গবাদিপশু উদ্বৃত রয়েছে।