ডিম,কাপড়ের ক্ষতিকারক রং এবং নোংরা ও অস্বাস্হ্যকর পরিবেশে বেকারী পন্য উৎপাদন ও বিপননের দায়ে বাগেরহাটের রায়েন্দা বাজারের আল আমিন বেকারীকে নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ এর ১৭ ক ধারা অনুযায়ী দুইলক্ষ টাকা জরিমানা এবং কারখানাটি সিলগালা করে দিয়েছে প্রশাসন।
বুধবার (১৪জুন) বিকেলে জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এক অভিযানে সরেজমিন গিয়ে এই অভিযোগের সত্যতা পান। পরবর্তীতে শরণখোলা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রুহুল কুদ্দুস ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেন এবং কারখানাটি সিলগালা করে দেওয়া হয়
অভিযানের সময়ে কারখানা মালিক মো. মিজানুর রহমানকে পাওয়া যায়নি। অস্বাস্থ্যকর খাদ্য উৎপাদনের জন্য এর আগেও কয়েকবার জরিমানা গুণেছেন এই বেকারীর মালিক।
এ বিষয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রুহুল কুদ্দুস জানান, আল আমিন বেকারী কারখানার ভেতরে পঁচা দুর্গন্ধে নাক চেপে ধরে ঢুকতে হয়েছে কারখানায়। এক পাশে থরে থরে সাজানো হাজার হাজার পঁচা ডিম পাওয়া গেছে। এছাড়া, কৌটা ভর্তি ক্ষতিকর কাপড়ের রঙ। যা দিয়ে তৈরী হচ্ছে কেক, বিস্কুটসহ বিভিন্ন মুখরোচক খাবার। কারখানার ভেতরের নোংরা মেঝেতে তৈরী করা নানা ধরণের খাদ্য পড়ে আছে। এসব খাদ্য চলে যাচ্ছে বিভিন্ন উপজেলার গ্রামগঞ্জে। এমন অব্যবস্থাপনার কারণে কারখানার মালিককে সতর্ক করে দুই লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক বছরের কারাদণ্ড প্রদান করার পাশাপাশি কারখানাটি সিলগালা করা হয়েছে।
অভিযানকালে জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা সৌরভ চন্দ্র বর্মণ, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান, জেলা নিরাপদ খাদ্য ব্যাবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও জেলার জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক বাবুল সরদার, শরণখোলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ইসমাইল হোসেন লিটন, উপজেলা নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক সুকুমার চন্দ্র সিকদার, রায়েন্দা বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান বাবুল তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।।।
গেেে