সুন্দরবনে মুক্তিপনের দাবীতে ১১ জেলে অপহরণকারী নয়ন বাহিনীর দুই বনদস্যু রেজাউল মুন্সি (৩২) ও এসমাইল হেসেনকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে বাগেরহাটের ডিবি পুলিশ। সোমবার দিবাগত রাতে খুলনা মহানগরের পুরাতন জেলখানা ঘাট ও বাগেরহাটের শরণখোলা থেকে গ্রেফতারের পর সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের পাথুরিয়া নদীর পূর্বপাড়ের গহীণ অরণ্যের নলবনের মধ্য থেকে ৩টি দেশীয় একনলা বন্দুক ও ১০ রাউন্ড গুলিসহ মুক্তিপণের কাজে ব্যবহৃত মালামাল উদ্ধার করেছে ডিবি পুলিশ। মঙ্গলবার বিকালে জেলা পুলিশ অফিসে এক প্রেসব্রিফিংএ এতথ্য নিশ্চিত করেছেন বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার জানান, গত ২১ ডিসেম্বর সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জ এলাকায় খালে মাছ ধরার সময় বনদস্যু নয়ন বাহিনীর সদস্যরা ১১ জেলেকে মুক্তিপনের দাবীতে অপহরণ করে। এঘটনা জানতে পেরে বাগেরহাট পুলিশ সুন্দরবনে অভিযান চালিয়ে ৯ জেলেকে উদ্ধার করা হয়। এসময়ে নয়ন বাহিনীর তিন বনদস্যু মো. মাসুম ফরাজী (৩৫),মো. হাসান কবিরাজ (৩০) ও মো. আলমগীর হোসেন হাওলাদারকে ((৫০) একটি বন্দুক ও ৩ রাউন্ড গুলিসহ গ্রেফতার করা হয়।
এসময়ে নয়ন বাহিনীর প্রধান নয়নসহ অন্য বনদস্যুরা পুলিশের উপস্থিতিতে সুন্দরবনের গহীণ অরণ্যে পালিয়ে যায়। এঘটনায় মোংলা থানায় মামলা দায়েরে গ্রেফতারকৃত জিজ্ঞাসাবাদে অন্য বনদস্যুদের নাম জানা যায়। মুক্তিপনের দাবীতে জেলে অপহরণের এই মামলার ধারাবাহিকতায় সোমবার দিবাগত রাতে খুলনা মহানগরের পুরাতন জেলখানা ঘাট এলাকা থেকে প্রথমে বনদস্যু রেজাউল মুন্সিকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেয়া তথ্যমতে ভোর রাতে বাগেরহাটের শরণখোলা থেকে গ্রেফতার করা হয় নয়ন বাহিনীর অপর বনদস্যু এসমাইল হোসেনকে। পরে মঙ্গলবার সকালে এই দুই বনদস্যু সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের পাথুরিয়া নদীর পূর্বপাড়ের গহীণ অরণ্যের নলবনের মধ্য লুকিয়ে রাখা ৩টি দেশীয় একনলা বন্দুক ও ১০ রাউন্ড গুলিসহ মুক্তিপদের কাজে ব্যবহৃত মালামাল ডিবি পুলিশের কাছে বের করে দেয়। এই জেলে অপহরণের ঘটনায় বনদস্যু নয়ন বাহিনীর প্রধানসহ পলাতক ৪ বনদস্যুকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলমান রয়েছে বলেও প্রেস ব্রিফিংএ জানান পুলিশ সুপার।