1. nabadhara@gmail.com : Nabadhara : Nabadhara ADMIN
  2. bayzidnews@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  3. bayzid.bd255@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  4. mehadi.news@gmail.com : MEHADI HASAN : MEHADI HASAN
  5. jmitsolution24@gmail.com : support :
  6. mejbasupto@gmail.com : Mejba Rahman : Mejba Rahman
সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:২৮ অপরাহ্ন

পরীক্ষামূলক ভাবে উৎপাদন শুরু করেছে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২য় ইউনিট

সোহেল রানা বাবু, বাগেরহাট প্রতিনিধি
  • প্রকাশিতঃ বৃহস্পতিবার, ২৯ জুন, ২০২৩
  • ১৯৩ জন নিউজটি পড়েছেন।

দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ সংকট সমাধানে আশার সঞ্চার করেছে দেশের কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র রামপাল মৈত্রী পাওয়ার প্লান্টের ২য় ইউনিটের পরীক্ষামূলক উৎপাদন।দেশের বিদ্যুতের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি ও স্বল্পমূল্যে বিদ্যুতের সহজলভ্যতার জন্য ২০১৩ সালে এই কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি অনুমোদন পায়। নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করে প্রথম ইউনিটের ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করেছে কেন্দ্রটি । ১৭ ডিসেম্বর জাতীয় গ্রিডের সাথে যুক্ত হয়েছে প্রথম ইউনিট এবং বানিজ্যিক ভাবে উৎপাদন শুরু করেছে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ কেন্দ্র সংশ্লিষ্টরা । এই কেন্দ্রের উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে যুক্ত হয়ে কম খরচে দেশের বিদ্যুতের চাহিদা মেটাচ্ছে বলে জানিয়েছে কতৃপক্ষ। ইতোমধ্যে দ্বিতীয় ইউনিটের ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন পরীক্ষামূলক ভাবে শুরু করেছে কেন্দ্রটি ।

সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি হওয়ায় সবথেকে আলোচনা সমালোচনার বিষয় ছিল পরিবেশ বিপর্যয়ের নিয়ে। তবে কতৃপক্ষের দাবি পরিবেশের বিষয়টি শতভাগ নিশ্চিত করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ সম্পন্ন করেছেন তারা। গেলো বছরের ১৭ ডিসেম্বর বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিটের উৎপাদিত ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের ৪০০ মেগাওয়াট গোপালগঞ্জের আমিন বাজার হয়ে ঢাকার জাতীয় গ্রীডে যুক্ত হয়েছে । এবার প্রথম ইউনিটের পর দ্বিতীয় ইউনিট ও পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু করেছে । বিধি মোতাবেক সবকিছু ঠিক থাকলে দ্বিতীয় ইউনিটের ৬৬০ মেগাওয়াটের কাজ সম্পন্ন হয়ে ২৩ সালের জুন মাসেই জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবার আশা করছে সংশ্লিষ্টরা । তারা বলছেন মৈত্রী পাওয়ার প্রজেক্ট বাংলাদেশের বিদ্যুতের চাহিদা পুরনের পাশাপাশি এলএনজি ও অন্যান্য তরল জ্বালানীর তুলনায় এটি কম দামে পাবেন গ্রাহকরা । বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইন্দোনেশিয়া ইতোমধ্যে থেকে তিনলাখ মেট্রিকটন কয়লা এসে পৌঁছে গেছে । আরো দুইলাখ টন কয়লা আমদানির অপেক্ষায় রয়েছে ।

তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ ও পরিবেশ অধিদপ্তর এর সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন পরিবেশের যেন ক্ষতি না হয় সে সকল বিষয়ে ব্যাবস্হা নেয়ার পাশাপাশি কঠোর মনিটরিং করা হচ্ছে । বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক জানান আমরা আস্তে আস্তে মেশিনের কার্যক্রম বাড়াচ্ছি।আশা করছি মৈত্রী পাওয়ার প্রজেক্ট কম খরচে দেশের বিদ্যুতের চাহিদা পূরন করবে ।

উল্ল্যেখ্য ২০১৩ সালের আগষ্ট মাসে এই তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি অনুমোদন পায় । বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের য়ৌথ বিনিয়োগে রামপাল কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মানে ব্যায় ধরা হয়েছে ১৬ হাজার কোটি টাকা । মূলতঃ দেশকে বিদ্যুতে স্বয়ং সম্পূর্ণ করতে এই প্রকল্প শুরু হয়েছিল । এখন দ্রুত তম সময়ে পুরোপুরি উৎপাদনে গিয়ে দেশের বিদ্যুতের কাংখিত চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের ।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved সর্বস্বত্বঃ দেশ হাসান
Design & Developed By : JM IT SOLUTION