বাগেরহাটের বাজারে এক কেজি গরুর মাংস যেখানে বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকায়, সেখানে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৮০০ টাকায়। জেলা সদর সহ বিভিন্ন বাজারে কাঁচা মরিচ ৪০০ টাকা থেকে দুই দিনের ব্যবধানে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮০০ টাকা দরে। বাগেরহাটে কাঁচা মরিচের ঝাঁজে নাজেহাল ক্রেতারা।
জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন বাজারে হটাৎ করে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজনের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। গত সপ্তাহেও এই কাঁচা মরিচ বিক্রয় হয়েছে প্রতি কেজি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায়। ঈদের আগে মঙ্গলবার সকাল থেকে বাজারে ৪০০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি করা হয়। ঈদের দিন থেকে বাগেরহাটের বাজারে সেই ৪০০ টাকার কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮০০ টাকা দরে। বিক্রেতারা বলছেন আড়ৎ ও পাইকারী বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ না থাকায় ৭৫০ টাকা দরে কিনে খুচরা বাজারে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে।
শনিবার বিকালে বাগেরহাট শহরের প্রধান কাঁচাবাজার সহ শহরতলীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা করে। বুধবার প্রথম দফা প্রতি কেজি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকার কাঁচা মরিচ এক লাফে ৪০০ টাকা হয়ে যায়। মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে ঈদের দিন সকাল থেকে সেই ৪০০ টাকার কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টির কারণে কাঁচা মরিচের আমদানি অনেক কমে যাওয়ার কারনে পাইকারী আড়ৎ থেকে তারা প্রতি কেজি ৭৫০ টাকা দরে কাঁচা মরিচ কিনে ৮০০টাকায় বিক্রি করছেন।
ক্রেতারা বলছেন মরিচ কেন সবকিছুর দামই বিক্রেতাদের মর্জিমতো ওঠানামা করে। এখন সব কিছুই সিন্ডিকেট করে রাতারাতি দাম দ্বিগুন করা হয়। ১৪০ থেকে ১৬০ টাকার মরিচ রাতারাতি ৪০০ টাকা হয়ে যায়। দুই দিন পরে সেই কাঁচা মরিচ এখন ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আমরা সীমিত আয়ের মানুষ। তাই আমাদের পক্ষে এক কেজি কাঁচা মরিচ ৮০০ টাকা দিয়ে কেনা সম্ভব নয়। এই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দামের উর্ধগতির কারনে আমাদের এখন বেঁচে থাকাই দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।# সোহেল রানা বাবু