নড়াইলের নড়াগাতী থানার পাখীমারা বাজারে চায়ের দোকানী সমীর ভক্তের সাথে পার্শ্ববর্তী বল্লাহাটি গ্রামের ইয়াকুব শিকদার এর জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। ১ জানুয়ারী ইয়াকুব শিকদার তাদের রেকর্ডিও জমির ওপর নির্মিত টিনের ছাপড়া ভেঙ্গে নতুন স্থাপনা তৈরীর সরঞ্জাম আনে। এদিকে সমীর ভক্ত ওই জায়গা তার বলে দাবি করে নড়াগাতী থানায় অভিযোগ করেন।
অভিযুক্ত ইয়াকুব শিকদারের ছেলে সুজ্জল শিকদার, আনিচ ও ইকবাল জানান, প্রায় ১ বছর পূর্বে ওই গ্রামে নির্মল বিশ্বাসের কাছ থেকে দলিল মুলে খরিদ করে নিজ নামে রেকর্ড করে কর খাজনা পরিশোধ করেছেন । কিন্তু সমীর ভক্ত জোর করে জায়গা দখল করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তাই আমাদের জায়গা আমরা দখল নিয়েছি। দুই পক্ষের বিরোধ মিমাংসায় ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক মুকিত মোল্যা ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সদস্য নাইমুর রহমান বরকত ও ওয়ার্ড সভাপতি কার্তিক রায়সহ স্থানীয় গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বুধবার সকাল ১০ টায় কাগজপত্রসহ হাজির থাকার নির্দেশ দেন এবং উভয় পক্ষই নির্দেশ মেনে নিয়ে ভিডিও বক্তব্য দেন। কিন্তু গতকাল মঙ্গলবার সমীর ভক্ত ওয়াদা ভঙ্গ করে মামলা করায় পূর্ব নির্ধারিত বুধবারের সালিস বানচাল হয়ে যায়।
ইয়াকুব শিকদারের দুই কন্যা শাহীনা ও মদিনা জানান, আমাদের রেকর্ডিও সম্পত্তির অস্থায়ী টিনের ছাপড়া ভেঙ্গে স্থায়ী ঘর করতে গেলে সমীর ভক্ত বাঁধা দেয়। অতঃপর স্থানীয় আওয়ামিলীগ নেতৃবৃন্দ ও বাজারের গন্যমান্য ব্যক্তিরা উভয় পক্ষকে বুধবার পর্যন্ত স্থীর থাকতে বলে। অথচ সমীর ভক্ত ওই শালিসগনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে শালিস বাঞ্চাল করার জন্য আমার বাবা ও ভাইদের আসামী করে মামলা দিয়ে হয়রানী করছে। আমরা এর শুষ্ঠ বিচার চাই। এ বিষয়ে সমীর ভক্তের সাথে কথা বলতে চাইলে বিভিন্ন অজুহাতে সটকে পড়েন।
এ বিষয়ে পহরডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক মুকিত মোল্যা বলেন, ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সদস্য নাইমুর রহমান বরকত ও ওয়ার্ড সভাপতি কার্তিক রায় মিলে বিষয়টি মিমাংসার জন্য দুই পক্ষকেই আজ বুধবার পর্যন্ত আইনী প্রক্রিয়ায় যেতে নিষেধ করেছিলাম। তারা ও সম্মতি প্রকাশ করেছিল। কিন্তু আমাদের অপমান করে সমীর ভক্তের মামলা করাটা দুঃখজনক। সে কেন এটা করলো আমরা শুনবো।