1. nabadhara@gmail.com : Nabadhara : Nabadhara ADMIN
  2. bayzidnews@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  3. bayzid.bd255@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  4. mehadi.news@gmail.com : MEHADI HASAN : MEHADI HASAN
  5. jmitsolution24@gmail.com : support :
  6. mejbasupto@gmail.com : Mejba Rahman : Mejba Rahman
সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৩১ পূর্বাহ্ন

কালিয়ায় স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রীর যাবজ্জীবন

শরিফুল ইসলাম (স্টাফ রিপোর্টার) নড়াইল  
  • প্রকাশিতঃ বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৩
  • ৩০৭ জন নিউজটি পড়েছেন।

নড়াইলের কালিয়া উপজেলার ফুলদাহ গ্রামে ভ্যানচালক ইবাদ শেখ (৪৫) কে হত্যার দায়ে মামলায় পলাতক আসামি তার স্ত্রী আমেনা খাতুন (৩৩) কে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আকরাম হোসেন এ রায় দেন। আমেনা খাতুন নড়াইলের কালিয়া উপজেলার আমতলা গ্রামের মৃত ছিদ্দিক ফকিরের মেয়ে। রায় ঘোষণা সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ১৩/১৪ বছর আগে মো.ইবাদুল শেখের সাথে আমেনা খাতুনের বিবাহ হয়। বিবাহের পর তাদের সংসারে দুই পুত্র ও এক কন্যা সন্তান জন্ম গ্রহণ করে। সে পেশায় ভ্যান চালক হওয়ায় সংসারে অভাব অনটন নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে প্রায় ঝগড়া লেগে থাকতো।

এ কারনে ফুলদাহ ও আমতলা গ্রাম পাশাপাশি হওয়ায়র স্ত্রী আমেনা খাতুন প্রায় তার পিতার বাড়িতে চলে যেত। সাংসারিক অশান্তির কারণে ২০২০ সালের মে মাসের ৯ তারিখে আমেনা খাতুন তার পিতার বাড়িতে চলে যায়। রাতে ইবাদুল তার স্ত্রীকে ফেরত আনতে তার শ্বশুর বাড়ি আমতলা গ্রামে যায়। পরের দিন সকালে মামলার বাদী ইবাদুল এর পিতা সবুর শেখ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানতে পারে তার ছেলে ইবাদুল আতœহত্যা করেছে।

বাদী সহ সাক্ষীরা আমতলা গ্রামে যেয়ে দেখতে পায় ইবাদুল বাড়ির পাশে বাশের সাথে গামছা পেচানো অবস্থায় আছে। পুলিশকে সংবাদ দিলে পুলিশ একটি অপমৃত্যূর মামলা করে মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। পরে মামলাটি পিবিআই তদন্ত কালে প্রাথমিক জিঞ্জাসাবাদে আমেনা খাতুন পুলিশের নিকট স্বামীকে কে হত্যার কথা স্বীকার করে।

পরে তাকে আদালতে তোলা হলে সেখানেও আমেনা খাতুন নিজের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। এ অবস্থায় পিবিআই তদন্ত শেষে সত্যতা পেয়ে আমেনা খাতুনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। এদিকে বিচারিক প্রক্রিয়াচলা কালে আসামী আমেনা খাতুন আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে কিছুদিন পরে পালিয়ে যায়।

ফলে তার অনুপস্থিতিতেই দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া চলাকালে মোট ১৭ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি আমেনা খাতুনের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সন্দেহাতিতভাবে প্রমাণ হলে ৃৃহস্পতিবার রায়ের ধার্য দিনে তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ছাড়াও ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved সর্বস্বত্বঃ দেশ হাসান
Design & Developed By : JM IT SOLUTION