বাগেরহাটে টয়লেটের সেপটি ট্যাংক থেকে ফিরোজা বেগম রুমা (৩৮) নামের নিখোঁজ এক গৃহবধূর গলিত মরদেহ এক সপ্তাহ পর উদ্ধার করেছে পুলিশ। ৫ আগষ্ট শনিবার বিকাল ৪টার দিকে বাগেরহাট সদর উপজেলার দেওয়ানবাটি গ্রাম থেকে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে। পুলিশ এ ঘটনায় নিহতের স্বামী আলী হোসেন মোল্লা ওরফে প্রেম আলী (২৯)কে গ্রেফতার করেছে।
পারিবারিক কলহের জেরে এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে ঘাতক স্বামী। নিহত ফিরোজা বেগম দেওয়ানবাটি গ্রামের গফুর মোল্লার মেয়ে। গ্রেফতারকৃত প্রেম আলী বাগেরহাট শহরের নাগেরবাজার এলাকার আজিজ মোল্লার ছেলে।
বাগেরহাট সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম জানান, স্বামী আলী হোসেন মোল্লা ওরফে প্রেম আলী দেড় বছর আগে সদর উপজেলার দেওয়ানবাটি গ্রামের গফুর মোল্লার মেয়ে স্বামী পরিত্যাক্তা ফিরোজা বেগম রুমাকে বিয়ে করে স্ত্রীর বাবার বাড়ীতে বসবাস শুরু করে।
পারিবারিক কলহের জের ধরে গত ২৯ জুলাই প্রেম আলী তার তৃতীয় স্ত্রীকে ফিরোজা বেগমকে হত্যা করে মরদেহ তার স্ত্রীর বাড়ীর টয়লেটের সেপটি ট্যাংকে লুকিয়ে রাখে। এর মধ্যে গত ৩ আগষ্ট প্রেম আলী থানায় এসে তার স্ত্রীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে নিখোঁজের জিডি করে। স্ত্রীকে হত্যা করে মরদেহ ঘরের টয়লেটের সেপটি ট্যাংকে রেখে গত এক সপ্তাহ ধরে ওই ঘরে বসবাস করে ঘাতক স্বামী প্রেম আলী। নিখোঁজের খবর পেয়ে শনিবার বিকালে নিহত গৃহবধূর প্রথম পক্ষের মেয়ে পূর্নিমা ও তার স্বামী রায়হান ব্যাপারীসহ পিরোজপুর থেকে নানা বাড়ীতে এসে মায়ের ঘরে ঢুকেই পঁচা গন্ধ পায়। এসময় পূর্নিমা ও তার স্বামী টয়লেটের সেপটি ট্যাংকের স্লাভ খুললে একটি বস্তার মধ্যে তার মায়ের অর্ধগলিত মুখ দেখতে পেয়ে ৯৯৯ এ ফোন দেয়। তখন ঘাতক প্রেম আলী দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে পূর্নিমার স্বামী রায়হান ব্যাপারী তাকে ধরে ফেলে।
৯৯৯ এ ফোন পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে ঘাতক স্বামী প্রেম আলীকে পুলিশ গ্রেফতার ও নিহত গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে। ময়না তদন্তের জন্য অর্ধগলিত মরদেহ বাগেরহাট জেলা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বামী প্রেম আলী স্ত্রীকে হত্যা করে মরদেহ ঘরের টয়লেটের সেপটি ট্যাংকে লুকিয়ে রাখার কথা স্বীকার করেছে। এই হত্যাকান্ডের সাথে আর কেউ জড়িত কি না সেটা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।