1. nabadhara@gmail.com : Nabadhara : Nabadhara ADMIN
  2. bayzidnews@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  3. bayzid.bd255@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  4. mehadi.news@gmail.com : MEHADI HASAN : MEHADI HASAN
  5. jmitsolution24@gmail.com : support :
  6. mejbasupto@gmail.com : Mejba Rahman : Mejba Rahman
শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:২৮ পূর্বাহ্ন

৩ কোটি টাকা অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ, রুপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক উধাও

আশিক জামান, গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
  • প্রকাশিতঃ মঙ্গলবার, ৮ আগস্ট, ২০২৩
  • ৫৮৯ জন নিউজটি পড়েছেন।

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার রুপালী ব্যাংকের জয়নগর বাজার শাখার ব্যবস্থাপক মুহাম্মদ মফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে ব্যাংকের ৩ কোটি টাকারও বেশি অর্থ আত্মসাৎ ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠছে।ঘটনার পর থেকে ওই ব্যাংক কর্মকর্তা গত আটদিন যাবৎ নিখোঁজ রয়েছে।তবে ব্যাংকের ওই শাখার একটি সুত্র বলছে, তিনি নিখোজ নয়, অর্থ আত্মসাৎ এর দায়ে আত্মগোপনে আছেন। এঘটনায় ব্যাংকটির গোপালগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম কে দায়িত্বহীনতার দায়ে বদলী করা হয়েছে।

এদিকে, ব্যাংকের শাখাটির নতুন ব্যবস্থাপক ফাইজুর রহমান পুলিশের স্পেশাল ব্র্যাঞ্চের ইমিগ্রেশন শাখায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, রুপালী ব্যাংকের জয়নগর বাজার শাখার নিখোঁজ ব্যবস্থাপক মুহাম্মদ মফিজুর রহমান ব্যাংকের অর্থ জালিয়াতি ও আত্মসাতের সাথে জড়িত বলে প্রতীয়মান এবং তিনি যে কোন সময় দেশ ত্যাগ করতে পারেন। তিনি যাতে দেশ ত্যাগ করতে না পারেন সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।’ এছাড়া ব্যাংকের ওই শাখার পক্ষ থেকে থানায় অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ এনে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন শাখাটির নবাগত ব্যবস্থাপক মো. ফাইজুর রহমান।অভিযুক্ত ওই ব্যাংক কর্মকর্তা মুহাম্মদ মফিজুর রহমান একই উপজেলার নিজামকান্দি ইউনিয়নের ফলসি গ্রামে মো. মতিয়ার রহমান মোল্যার ছেলে।

ব্যাংক সুত্রে জানা যায়, মোহাম্মদ মফিজুর রহমান ২০১৯ সালের শেষের দিক থেকে রুপালী ব্যাংকের জয়নগর বাজার শাখায় শাখা ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে। চলতি বছরের জুলাইয়ে ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয় থেকে একটি টিম ওই শাখায় অডিটে আসে। জরিপে ওই ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও আর্থিক অনিয়ম খুজে পায় তারা। এরপর গত ২৬শে জুন শাখাটি থেকে মুহাম্মদ মফিজুর রহমান কে বদলী করে ওই শাখায় নতুন শাখা ব্যবস্থাপক হিসেবে জেষ্ঠ্য কর্মকর্তা মো. ফাইজুর রহমানকে (নিযুক্ত) করা হয়। গত ১ আগস্ট মো. ফাইজুর রহমান যোগদান করতে ও দায়িত্ব বুঝে নিতে ব্যাংকে আসলে কর্মরত শাখা ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মফিজুর রহমান ব্যাংক থেকে নিখোঁজ হয়ে যান। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাকে না পেয়ে পরের দিন কাশিয়ানী থানায় অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ এনে একটি লিখিত অভিযোগ করেন ব্যাংকের নবাগত শাখা ব্যবস্থাপক মো. ফাইজুর রহমান। এবিষয়ে অনুসন্ধান করে ব্যাংকের একটি সুত্র থেকে জানা যায়, নিখোঁজ ব্যাংক কর্মকর্তা মোহাম্মদ মফিজুর রহমান ব্যাংক শাখায় বড় ধরণের অর্থ আত্মসাৎ ও আর্থিক অনিয়ম করেছেন। ব্যাংক হিসাবে যার পরিমাণ প্রায় ৩কোটি টাকার বেশি। যে কারণে তিনি আত্মগোপন করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। অনিয়মের বিষয় খতিয়ে দেখতে রুপালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের তিন সদস্যের একটি তদন্ত টিম কাজ করছে। তদন্তের পর মোহাম্মদ মফিজুর রহমান নিখোঁজের রহস্য বেরিয়ে আসতে পারে বলে মনে করছেন তারা।এছাড়াও বিষয় টি নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান তারা।

এবিষয়ে জানতে ব্যাংকের শাখাটির নতুন ব্যবস্থাপকের সঙ্গে কথা হলে বিষয় টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, ১ তারিখে আমার নতুন কর্মস্থলে যোগদান ও দায়িত্ব বুঝে নিতে এলে শাখাটির সাবেক ব্যবস্থাপক মুহাম্মদ মফিজুর রহমান কে পাওয়া যায়নি। দীর্ঘসময় অপেক্ষার তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হই। পরে তার কোন সন্ধান না পেয়ে কাশিয়ানী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। এছাড়া পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের ইমিগ্রেশন শাখায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। যেন তিনি দেশ ছাড়তে না পারেন তার জন্য তাদের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে। রুপালী ব্যাংকের গোপালগঞ্জ এরিয়া অফিসের বদলী হওয়া মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) আব্দুল মান্নানের সঙ্গে যোগাযোগ করে বদলীর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তদন্ত কমিটি তাদের প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় আমাকে দায়ীত্বহীনতার দায়ে বদলী করে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। আর্থিক অনিয়মের সঙ্গে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই।

এবিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ওই কর্মকর্তা মুহাম্মদ মফিজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। জেলা শহরে মিয়াপাড়া এলাকায় তার বাসায় গেলেও বাড়িতে কাউকে পাওয়া যায়নি। দরজায় তালা জুলতে দেখা যায়।তারা কোথায় গেছে স্থানীয়দের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, গত একসপ্তাহ ধরে তারা কেই বাসায় নেই। বাড়িতে তিনি তার শশুর বাড়ির সদস্যদের নিয়ে বসবাস করতেন। আরও জানা যায়, বাড়িটি শশুরের নামে থাকলেও মুল মালিক মুহাম্মদ মফিজুর রহমান। কয়েকবছর আগে তিনি বাড়িটি কিনেছিলেন। এরপর থেকেই শশুর বাড়ির সদস্যদের সাথে বাড়িতে থাকতেন তিনি।

কাশিয়ানী থানার ওসি মুহাম্মদ ফিরোজ আলম বলেন, ‘ব্যাংক কর্মকর্তা নিখোঁজের ঘটনায় ব্যাংকের নতুন শাখা ব্যবস্থাপক মো. ফাইজুর রহমান ঘটনায় গত দুই আগস্ট থানায় ওই ব্যবস্থাপক মুহাম্মদ মফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ এনে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved সর্বস্বত্বঃ দেশ হাসান
Design & Developed By : JM IT SOLUTION