1. nabadhara@gmail.com : Nabadhara : Nabadhara ADMIN
  2. bayzidnews@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  3. bayzid.bd255@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  4. mehadi.news@gmail.com : MEHADI HASAN : MEHADI HASAN
  5. jmitsolution24@gmail.com : support :
  6. mejbasupto@gmail.com : Mejba Rahman : Mejba Rahman
রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৩০ অপরাহ্ন

তিন মাস পর ১ সেপ্টেম্বর থেকে পর্যটকসহ বনজীবীদের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সুন্দরবন

সোহেল রানা বাবু, বাগেরহাট প্রতিনিধি
  • প্রকাশিতঃ বৃহস্পতিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৩
  • ২৩৬ জন নিউজটি পড়েছেন।

টানা তিন মাস বন্ধ থাকার আগামীকাল শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) থেকে আবারো দেশি-বিদেশি পর্যটকসহ বনজীবীদের জন্য উন্মুক্ত করা হচ্ছে ওয়ার্ল্ড হ্যরিটেজ সাইড সুন্দরবন। ইতিমধ্যে পর্যটকদের স্বাগত জানাতে বন বিভাগ এর পক্ষ থেকে সুন্দরবনে নতুন করে আরো ৪টি ইকোট্যুরিজম কেন্দ্র ও ঝুলন্ত ব্রীজ নির্মাণসহ আধুনিকায়ন করা হয়েছে সব পর্যটন কেন্দ্র।

ভ্রমন-পিপাসু পর্যটকসহ বনজীবীদের সুন্দবনের পরিবেশের যাতে ক্ষতি করতে না পারে সেজন্য প্লাষ্টিক পানির বোতল, চিপসের প্যাকেটের মতো সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক দ্রব্য ও কীটনাশক বহন নিষিদ্ধ করেছে বন বিভাগ। বন বিভাগের এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা। জীববেচিত্র্যের আধার, অফুরন্ত অক্সিজেনের ভান্ডার সুন্দরবনে বাংলাদেশ অংশের আয়তন প্রায় ৭ হাজার বর্গ কিলোমিটর। ম্যানগ্রোভ এই বনের বিশাল জলভাগ বিশ্বের বৃহৎ জলাভূমি আন্তজার্তিক রামসার এলাকা। রাত-দিন ২৪ ঘন্টায় ৬ বার রূপ বদলানো সুন্দরবনে সুন্দরীসহ ৩৩৪ প্রজাতির গাছপালা, ১৬৫ প্রজাতির শৈবাল, ১৩ প্রজাতির অর্কিড ও ৩০০ প্রজাতির পাখি রয়েছে। বর্তমানে রয়েছে ১১৪টি রয়েল বেঙ্গল টাইগার, দুই লাখ হরিণসহ ৩৭৫ প্রজাতির বন্যপ্রানী। এই ম্যানগ্রোভ বনের ৩টি এলাকা ১৯৯৭ সালের ৬ ডিসেম্বর ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হ্যরিটেজ সাইড। সুন্দরবনে মধ্যের ১৮৭৪ বর্গ কিলোমিটার জলভাগে কুমির, ৬ প্রজাতির ডলফিনসহ রয়েছে ২৯১ প্রজাতির মাছ। সুন্দরবনে রাজা রয়েল বেঙ্গল টাইগারসহ অধিকাংশ বন্যপ্রানী ও মৎস্য সম্পদের প্রজনন মৌসুম হওয়ায় প্রতিবছর ১ জুন থেকে ৩১ আগষ্ট পর্যন্ত ৩ মাস এই ম্যানগ্রোভ বনে পর্যটকসহ বনজীবীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বন বিভাগ। এই নিষেধাজ্ঞার সময়ে পর্যটকসহ বনজীবীদের কোলাহল মুক্ত থাকায় সুন্দরবনে বন্যপ্রানী অবাধ বিচারনের পাশাপাশি নির্বিঘ্নে প্রজনন করতে পেরেছে। এই তিন মাসে সুন্দরবনের বন্যপ্রানী ও মৎস্য সম্পদসহ জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ।

শুক্রবার ( ১ সেপ্টেম্বর) থেকে পর্যটকসহ বনজীবীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হলেও এবার বন বিভাগ সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যের জন্য ক্ষতিকর পানির বোতল, চিপসের প্যাকেটের মতো সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক দ্রব্য ও কীটনাশক বহন নিষিদ্ধ করেছে। বন বিভাগের এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওয়ার্ল্ড হ্যরিটেজ সাইডে পর্যটন পুরোপুরি বন্ধ করে সুন্দরনের পর্যটকদের ভ্রমন ইকোট্যুরিজম কেন্দ্রর মধ্যেই রাখতে হবে। তবেই সুন্দরবনের প্রানপ্রকৃতি সুরক্ষিত থাকবে। সুন্দরবন ট্যুর অপারেটররা বলছেন, বন্যপ্রানী ও মৎস্য সম্পদের প্রজনন মৌসুমে গোটা সুন্দরবনে পর্যটন বন্ধ না করে এই ম্যানগ্রোভ বনের লোকালয়ের পাশের ইকোট্যুরিজম কেন্দ্র ভিত্তিক পর্যটন চালু রাখলে দেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটবে। দেশ অর্থনৈতিক ভাবে এগিয়ে যাবে, লাভবান হবে পর্যটন শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্টরা।

ইতিমধ্যেই নিষেধাজ্ঞার শেষ মুর্হুতে বন বিভাগের কাছ থেকে পাশ-পারমিট নিয়ে সুন্দরবনে প্রবেশে সকল প্রস্তুতি শেষ করেছে ট্যুর অপারেটরসহ সব ধরনের বনজীবীরা।

রয়েল ট্যুর অপারেটরের মালিক মোঃ ফারুক হোসেন জানান, টানা তিন মাস বন্ধ থাকার পর শুক্রবার সকাল থেকে আবারো সুন্দরবন উন্মুক্ত হবার খবরটি ট্যুর অপারেটরদের জন্য আনন্দের। ট্যুর অপারেটর হিসেবে আমরা সব সময় সুন্দরবনে জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সচেষ্ট থাকি। সুন্দরবনে পানির বোতল, চিপসের প্যাকেটের মতো সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহারে বন বিভাগের নিষিদ্ধ করার বিষয়টি আমরা পর্যটকদের অবহিত করেছি। সুন্দরবন উন্মুক্ত হবার খবরে দেশী বিদেশী পর্যটকদের চাপ বেড়েছে। প্রায় সব ট্যুর অপারেটরের পর্যটকবাহী লঞ্চ ও বিলাসবহুল ক্রুজারের ক্যাবিন এক সপ্তাহ আগেই বুক হয়ে গেছে। পর্যটকদের চাপ এভাবে শীত মৌসুমের আগ পর্যন্ত থাকলে তিন মাস বন্ধের ক্ষতি আমরা কাটিয়ে উঠতে পারব।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ বেলায়েত হোসেন বলেন, নিষেধাজ্ঞার সময়ে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য প্রাণ ফিরে পেয়েছে। বন্যপ্রানী ও মৎস্য সম্পদসহ জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ হয়েছে। শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর ) থেকে পর্যটকসহ সব ধরনের বনজীবীরা সুন্দরবনে প্রবেশ করতে চাইলে পানির বোতল, চিপসের প্যাকেটের মতো সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক সাথে নিতে পারবেনা। বন বিভাগ থেকে সুন্দরবনে প্রবেশের অনুমতি নেয়ার সময় পর্যটক, ট্যুর অপারেটর ও বনজীবীদের বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হচ্ছে। পর্যটকদের জন্য সুন্দরবনে নতুন করে ৪টি ইকো ট্যুরিজম কেন্দ্রসহ নতুন কয়েকটি ওয়াচ টাওয়ার নির্মান করা হয়েছে। সুন্দরবনে এই প্রথম করমজল ট্যুরিজম কেন্দ্রে একটি ঝুলন্ত ব্রীজ, তথ্য কেন্দ্র নির্মানসহ সকল ইকো ট্যুরিজম কেন্দ্রগুলোকে আধুনিকায়ন করা হয়েছে। জীববৈচিত্র্য সুরক্ষায় গোটা সুন্দরবনে পর্যটকদের অবাধ যাতায়াত নিরূৎসাহিত করে সকল ইকো ট্যুরিজম কেন্দ্র মুখি করতে বন বিভাগ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

সুন্দরবন বিভাগ এর তথ্য মতে গত বছর সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বনে ভ্রমন করেছে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৭০১ জন পর্যটক। এরমধ্যে বিদেশী ১ পর্যটক ছিল১ হাজার ৬৯৫ জন। সুন্দরবনের দুই বিভাগের মধ্যে পূর্ব বিভাগ থেকে পর্যটন খাতে রাজশ্ব আয় হয়েছে ১ কোটি ৮৯ লাখ ১২ হাজার ৫৯৫ টাকা । সোহেল রানা বাবু বাগেরহাট

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved সর্বস্বত্বঃ দেশ হাসান
Design & Developed By : JM IT SOLUTION